নিজস্ব সংবাদদাতা,বীরভূম,২১ শে আগস্ট : সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের পর বাংলায় ঘাসফুলকে দমিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে পদ্ম। এক ধাক্কায় পদ্ধতিটির নিজেদের আসন বাড়িয়ে করেছে ১৮। বীরভূমে সদ্য সমাপ্ত হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি খাতা খুলতে না পারলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় ভোট বাড়িয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। আর এই লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল, সিপিআইএম এবং কংগ্রেস থেকে অনেক নেতাকর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিতে শুরু করে। বিজেপির হাওয়াই তৃণমূল ছেড়ে আসতে দেখা যায় লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামকেও। আর তারপরেই দলের মধ্যেই শুরু হয় বিদ্রোহ, সামাল দিতে নামতে হয় রাজ্য নেতৃত্বকেও।
এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘জাতীয়তাবাদী দুবরাজপুরবাসী’ নামে একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে করা পোস্ট দিলে ব্যাপক জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। এই ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরা হয়েছে জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রামকৃষ্ণ মন্ডল, দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি পবিত্র চক্রবর্তী এবং দুবরাজপুর শহর সভাপতি সন্দীপ আগরওয়ালের ছবি। এই তিনজনের ছবিকে ফটোশপের মাধ্যমে এডিট করে ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর রূপ দিয়ে লেখা হয়েছে, “3 idiot of Dubrajpur BJP
এই তিনজন অপদার্থ দলে বেনোজল ঢুকিয়ে দলটাকে বিক্রি করতে চলেছে। এই তিনজনের জন্য দুবরাজপুর BJP র এই অবস্থা। যারা শত শত বিজেপি কর্মীদের রক্ত ঝরালো, শত শত বিজেপি কর্মীর মায়ের কোল খালি করলো, অনেক বোনেদের সিঁথির সিঁদুর মুছে দিল। আজকে তাদের কে দলে নিয়ে সেই সমস্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এইতিন অপদার্থ, যারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আজ এই দুর্বৃত্ত গুলোকে দলে নিচ্ছে। আমার মনে হয় দুবরাজপুরের জনগণকে এই তিন অপদার্থ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কেননা এই তিন অপদার্থ দুবরাজপুরের জনগনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এই সমস্ত দুষ্কৃতী হত্যাকারীদের দলে ঢুকিয়ে।
আর এতেই শুরু হয়েছে নতুন করে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, তাহলে কি এখন থেকেই বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব শুরু, নাকি অন্য দলের কর্মীদের দলে নেওয়াকে মেনে নিতে পারছে না বিজেপি বেশকিছু সদস্য!
যদিও এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন জেলা বিজেপির প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মন্ডল। তাঁর বক্তব্য, “কার্টুন গুলো দেখে খুব ভালো লেগেছে। দুবরাজপুরের বিজেপিতে এমন কিছু লোক আছে যারা তৃণমূল দ্বারা পরিচালিত। এই কাজটি তারাই করেছে। এই সকল কর্মীরা বিজেপির ভালো করতে দলে আসেনি, তৃণমূলের ভালো করতে আর নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এসেছে। যারা এই পোস্ট করেছে তারা দেখতে বিজেপি কিন্তু ভেতরে তৃণমূল।”
এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো প্রসঙ্গে তিনি এও জানান, “এসব ঘটনাকে আমরা পাত্তা দিই না। রাস্তায় হাতি যাবে, আর কুকুরকে চেঁচাবে।”