নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদা,২৭শে আগস্ট: সাবধান! ভেজাল মিশছে সরিষা তলে৷ ভেজার সরিষা তেল উৎপাদনের শীর্ষে এখন কালিয়াগঞ্জ। বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বল্প সময়ে অধিক লাভের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ৷ রীতিমতো গোডাউনে খুলে প্রকাশ্যেই চলছে ভেজালের কারবার৷ আর এই ভেজাল তেল ঢুকছে গ্রেহস্ত ঘরে৷ এমনকি, বিদ্যালয় গুলির মিড ডে মিলে খাবারেও৷
ফলে, যে কোনও দিন এই ভেজাল তেলের প্রভাবে বিদ্যালয় গুলিতে ছাত্র ছাত্রীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই । প্রশাসনের নাকের ডগায় কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু সংখ্যক মিলে ও বিভিন্ন গোডাউনে এই ভেজাল সরিষা তেল তৈরির কারবার চলছে রমরমিয়ে৷
প্রশাসনও এতদিন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলেও আজ দেখা গেল জেলা পুলিশের ডিএসপিপ্রসাদ প্রধান এবং গোবিন্দ শিকদার ও কালিয়াগঞ্জ থানারআইসি নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ।
আজ যখন কালিয়াগঞ্জ এর রশিদপুর মোড়ের কাছে একটিনামি তেল মিলের কারখানায় হানা দেয় পুলিশ সেই সেই তেলেরমিলের মালিক ইন্দ্রচাদ আগারওয়াল সেখান থেকে বেপাত্তা হয়েযান।
আজকের এই হানা কে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছেকালিয়াগঞ্জ এর এই তেল মিল এর পাশাপাশি আরো যে সমস্তকিছু অসাধু ব্যবসায়ী এরকমভাবে ভেজাল তেল উৎপন্ন করে আসছে তাদের মধ্যে।জানা যায় পুলিশ সূত্রে এই তেল মিল মালিকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই তেল মিলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল তেল উৎপন্ন হচ্ছে বলে এমন খবর ছিল নাকি পুলিশের কাছে সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ এই হানা দেয় পুলিশ। যদিও জানা যায় যেগুলো তেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরেই জানা
যাবে এই তেল মিলে ভেজাল হচ্ছিল কি না সে ব্যাপারে। অন্যদিকে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ এই তেল মিল এর মালিক গোপাল মাস্টার অয়েল নামে ব্র্যান্ড দিয়ে বাজারে তাদের উৎপাদিত তেল বিক্রি করে আসছিল। আর তারা তাদের তেল মিলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে নামেই কারখানা থাকলেও আসলে পামওয়েল তেলের সাহায্যে সরষের তেল বানিয়ে
তারা বাজারে বিক্রি করতো বলে অভিযোগ।৷এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ কালিয়াগঞ্জে এমন বহু তেল মিল রয়েছে যে তেল মিল গুলি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তেল মিল গুলিতে কোনও প্রকার খোল পাওয়া না গেলেও প্রতিদিন এই সকল মিল ও গোডাউন থেকে কয়েকশ টিন ভেজাল সরিষার তেল উৎপাদন হচ্ছে। যা উত্তর দিনাজপুর জেলা সহ রাজ্য ও ভিন রাজ্যে ট্রাকে করে পাড়ি দিচ্ছে অনায়াসে।সুত্রের খবর, কম দামের সাদা তেল ও পাম ওয়েল জাতীয় তেল ভিন রাজ্য থেকে বহন করে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে আসছে বড় বড় ট্যাঙ্কার। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টি এমন ট্যাঙ্কার ঢোকে কালিয়াগঞ্জে।
চারিদিকে উঁচু প্রাচীর দেওয়া বন্ধ তেল মিলের আড়ালে ও গোডাউনে প্রকাশ্য দিবালোকে খালি করা হচ্ছে ট্যাঙ্কারগুলি। এরপরেই সেই কমদামী সাদা বা পাম তেলের মধ্যে সরিষার তেলের রং আনতে ব্যবহার করা হচ্ছে এক ধরনের ক্ষতিকারক রাসায়নিক তরল পদার্থ।
এক টিন সাদা বা পাম তেলে এক ড্রপার বা কয়েক এমএল রাসায়নিক সেই বিষাক্ত তরল ব্যবহার করে মিশ্রণ করলেই কমদামী তেল সরিষার তেলের রং ধারণ করছে। কোথাও সাদা বা পাম তেলের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে সামান্য খাঁটি সরিষার তেলও।
অপরদিকে, এক টিন তেলে খাঁটি সরিষার তেলের ঝাঁঝ আনতে ব্যবহার করা হচ্ছে অপর এক প্রকার বিষাক্ত দম বন্ধ করা ঝাঁঝ যুক্ত তরল। তেলে ঝাঁঝ আনতে এই বিষাক্ত ঝাঁঝ যুক্ত তরল এক টিনে এক ফোঁটা মেশানো মাত্রই কমদামী সাদা তেল ও পাম তেল খাঁটি সরিষা তেলের মত ঝাঁঝ বিশিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে, সাধারণ মানুষের বোঝবার উপায় থাকছে না, এই বিষাক্ত তেল খাঁটি না কমদামী নামমাত্র সরিষার তেল। ফলে খাঁটি সরিষার তেলের তুলনায় একই রকম দেখতে এই কম দামের ভেজাল সরিষার তেল নিজেদের অজান্তেই কিনছেন সাধারণ মানুষ।
প্রশাসনের নাকের ডগায় কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু সংখ্যক মিলে ও বিভিন্ন গোডাউনে এই ভেজাল সরিষা তেল তৈরির কারবার চলছে রমরমিয়ে৷আশ্চর্যজনক ভাবে প্রশাসনও এতদিন নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছিল ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তেল মিল গুলিতে কোনও প্রকার খোল পাওয়া না গেলেও প্রতিদিন এই সকল মিল ও গোডাউন থেকে কয়েকশ টিন ভেজাল সরিষার তেল উৎপাদন হচ্ছে। যা উত্তর দিনাজপুর জেলা সহ রাজ্য ও ভিন রাজ্যে ট্রাকে করে পাড়ি দিচ্ছে অনায়াসে।সুত্রের খবর, কম দামের সাদা তেল ও পাম ওয়েল জাতীয় তেল ভিন রাজ্য থেকে বহন করে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে আসছে বড় বড় ট্যাঙ্কার। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টি এমন ট্যাঙ্কার ঢোকে কালিয়াগঞ্জে। বন্ধ তেল মিলের আড়ালে ও গোডাউনে প্রকাশ্য দিবালোকে খালি করা হচ্ছে ট্যাঙ্কারগুলি। এরপরেই সেই কমদামী সাদা বা পাম তেলের মধ্যে সরিষার তেলের রং আনতে ব্যবহার করা হচ্ছে এক ধরনের ক্ষতিকারক রাসায়নিক তরল পদার্থ।