নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম বর্ধমান,৩রা সেপ্টেম্বর : পানীয় জলের উন্মুক্ত ট্যাঙ্ক, হোস্টেলের পাশে উন্মুক্ত টয়েলেটের চেম্বার। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ আবাসিকরা। তারপর নিম্নমানে খাবার। গত জানুয়ারী মাস থেকে জোটেনি ইউনিফর্ম থেকে, ব্যাগ, বেডিং। অনিয়মিত চিকিৎসা পরিষেবা। চরম বঞ্চনায় জর্জরিত কাঁকসা রঘুনাথপুরে একলব্য আদিবাসী আবাসিক স্কুলের পড়ুয়ারা।
কাঁকসার রঘুনাথপুর একলব্য আদিবাসী আবাসিক স্কুল। পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ৩৭৫ জন। গত কয়েকবছর ধরে স্কুলের নানান অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় অনগ্রসর শ্রেনীকল্যান মন্ত্রকের আর্থিক সহয়তায় চলে স্কুলটি। পড়ুয়া পিছু বছরে ৬১ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু তারপরও পড়ুয়াদের বঞ্চনার শিকার হতে হয়। হোষ্টেলের খাবার অত্যন্ত নিম্নমানের। পড়ুয়াদের অভিযোগ, এডুকেশন, ইতিহাস, অঙ্ক সহ একাধিক শিক্ষক নেই। পঠনপাঠন লাটে উঠেছে। ওই বিষয়ে ক্লাস প্রায়ই হয় না।” আরও অভিযোগ, “পড়ুয়াদের ব্যাবহারের জলের ট্যাঙ্ক উন্মুক্ত। পরিস্কার হয় না। ফলে নোংরায় ভর্তি জলের ট্যাঙ্ক। তাও আবার মাঝে মধ্যে জল থাকে না। গত সপ্তাহে তিনদিন পানীয়জল শুন্য হয়ে পড়ে হোষ্টেলে।
অভিযোগ, গত জানুয়ারী মাস থেকে এখনও পর্যন্ত পড়ুয়াদের নতুন ইউনিফর্ম, ব্যাগ, বেডিং দেওয়া হয়নি। হোস্টেলের সামনে উন্মুক্ত শৌচালয় চেম্বার। তার ওপর জঞ্জলে ভর্তি। মশা মাছির উপদ্রবে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে পড়ুয়ারা। সপ্তাহে একদিন চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে সেই পরিষেবাও অনিয়মিত। যার ফলে জর্জরিত পড়ুয়ারা।