নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা ,৬ই সেপ্টেম্বর : বিধানসভায় হাতাহাতি। কাটমানি নিয়ে চাকরিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। টাকা নিয়ে পরিবহন দফতরে নিয়োগ করা হচ্ছে, শুক্রবার বিধানসভায় এই অভিযোগ তোলেন কংগ্রেসের বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়।পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দিকে তেড়ে গেলেন কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। স্বয়ং মুখমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ সামাল দিতে হয়৷ বিধানসভার ইতিহাসে প্রথমবার ওয়েলে নেমে হাতাহাতি রুখলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
অধিবেশন চলাকালীন, টাকার বিনিময়ে এনবিএসটিসি-তে স্থায়ী সরকারি চাকরি মিলছে কিনা? প্রশ্ন তোলেন প্রতিমা রজক। বিধানসভায় দাঁড়িয়েই অভিযোগ করেন, টাকা নিয়ে চাকরিতে নিয়োগ চলছে। প্রতিমা রজকের এই মন্তব্যকে ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভার অন্দরমহল। প্রতিমা রজকের মন্তব্যের পরই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, “ওনাকে প্রমাণ করতে হবে। নয়তো বিধানসভার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”
বিধানসভায় কংগ্রেসের বেঞ্চের দিকে উদ্দেশ করে শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “পরের বার আর জিততে পারবেন না। সাফ হয়ে যাবেন। মুর্শিদাবাদ ফাঁকা করে দেব।” বিধানসভায় পরিবহন মন্ত্রীর এই হুঙ্কারের পরই ঝামেলা আরও চরমে ওঠে।এরপর এই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হয়৷ শুরু হয় হাতাহাতি৷ কংগ্রেসের বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায় রীতিমত তেড়ে যান শুভেন্দু অধিকারীর দিকে৷ প্রথমে কংগ্রেস, পরে বাম বিধায়করাও বিক্ষোভে সামিল হন৷
ইতিহাসে এই প্রথমবার ঝামেলা সামলাতে ওয়েলে নামতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে। দলীয় বিধায়কদের শান্ত থাকার পরামর্শ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গন্ডগোল শান্ত হওয়ার পর কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।