নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর,৬ই সেপ্টেম্বর :অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিবেশ দেখলে মনে হবে যেনো মিনি পর্যটন কেন্দ্রে। মন কেড়েছে ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের, তাই তারাও প্রতিনিয়ত চলে আসে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। আর মনের খেয়ালে করে খেলা, তার সাথে লেখাপড়া। এমনই এক মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি করে নজর কেড়েছে সকলের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বনপুকুর এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে প্রবেশ করলে দেখা যাবে বসার জায়গা থেকে দোলনা, পুতুল, বাইরে বাহারি গাছ গাছালি কি নেই তাতে, যেন শিশু উদ্যান। দেওয়ালে দেওয়ালে ফুটে উঠেছে গুনিজনের ছবি থেকে ছড়া। সব কিছুতে ভরে উঠেছে প্রত্যন্ত গ্রামের ওই শিশু আলয়টি। প্রত্যন্ত গ্রামে এই ধরনের মনোরম পরিবেশের একটি অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র তৈরী হওয়ায় প্রত্যহ বিকেলে এলাকার প্রবীন নাগরীকরাও এই পরিবেশে একটু শান্তিতে বিচরণ করে মনে তৃপ্তি পায়। অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়ুয়ার উপস্থিতি কম থাকে, খাবার টুকু সংগ্রহ করতে উপস্থিত হয় অভিভাবকরা।
এমনই চিত্র থাকে।তবে এহ্মেত্রে পড়ুয়াদের অঙ্গনওয়াড়ি মুখি করতে এবং এলাকায় এমজিএনআরজি প্রকল্পে সম্পদ তৈরীতে সচেষ্ট চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লক প্রশাসন। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় দশ শতক জায়গায় ১২ লক্ষ্য টাকা ব্যায়ে গড়ে উঠেছে এই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রটি। সব থেকে উল্লেখযোগ্য হলো এমজিএনআরজি প্রকল্পের আওতায় সম্পদ তৈরীর লক্ষ্য প্রায় তিন মাসের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। এমজিএনআরজি প্রকল্পে সম্পদ তৈরী করায় পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে এমন অভিযোগ করা হয়, কিন্তু চন্দ্রকোনার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি তা ভুল প্রমান করে, এরকম আরও বেশকিছু কাজ হয়েছে ওই প্রকল্পের আওতায়। এমনটাই জানান ওই পঞ্চায়েতের নির্মান সহায়ক স্বর্ণগোপাল মালস। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি জায়গার অভাবে আবার কোথাও পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে, সেদিক দিয়ে চন্দ্রকোনার বনপুকুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি মডেল বলেই মনে করছে এলাকাবাসী থেকে স্থানীয় প্রশাসন।