নিজস্ব সংবাদদাতা, ইংরেজবাজার, ৮ই নভেম্বর, ফের বন্ধ হয়ে গেল মালদহের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস। বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বাইপাসে সমস্ত ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, জাতীয় সড়কের অসমাপ্ত লেন সংস্কারের কাজ করা হবে। এদিকে, বাইপাস দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হতেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে ইংরেজবাজার শহরের রথবাড়িতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। সেই জট কাটাতে হিমশীম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। একই সঙ্গে ফের বাইপাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মালদহের বণিক মহলও।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারনের কাজ শুরু হয় ২০০৫ সালে। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারনের পাশাপাশি মালদহে একটি বাইপাস তৈরির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। ইংরেজবাজারের যদুপুর থেকে পুরাতন মালদহের নারায়ণপুর পর্যন্ত এলাকা জুড়ে বাইপাস তৈরির কাজ শুরু হয়। ওই বছরই শহরের মাধবনগরে মহানন্দা নদীর উপরে তৃতীয় সেতুরও কাজ শুরু হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজ শুরুর ১০ বছরের মধ্যে বাইপাস তৈরির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে কাজ শুরুর ১৪ বছর হয়ে গেলেও এখনও সম্পন্ন হল না বাইপাস তৈরির কাজ। এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে।
এমন অবস্থায় অসমাপ্ত বাইপাসের একাংশ দিয়েই যান চলাচল শুরু হয়। তবে মানিকচকের ভুতনি সেতু উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক হতেই বন্ধ হয়ে যায় বাইপাস দিয়ে যান চলাচল। পুজোর মুখে বাইপাস বন্ধ নিয়ে আন্দোলনে নামে মালদহের বণিক মহল। তারপরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ফের পুজোর মরশুমে বাইপাস খুলে দেয়। ফলে পুজোর মুখে যানজট থেকে রেহাই পান মালদহবাসী। এদিন ফের বাইপাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। আর বন্ধের প্রথম দিনেই যানজটে জেরবার হয়ে ওঠে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। সকাল থেকেই গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। ধীর গতিতে চলতে শুরু করে যানবাহন।
মালদহের এক্সপোটার্সঅ্যাসোসিয়েনের রাজ্য সম্পাদক তথা মালদা জেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা উজ্জল সাহা বলেন “বাইপাসের কাজ শেষ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। আর বারবার করে বাইপাস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তাতে সাধরন মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে। গাড়ি ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে। আর গাড়ি ভাড়া বাড়লেই জিনিস পত্রের দামও বাড়বে।” মালদহের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রোজেক্টর ডিরেক্টর দীনেশ হানসারিয়া বলেন, “বাইপাসের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেই কাজ করার জন্য আপাতত বাইপাস বন্ধ করা হয়েছে।”