১৭ নভেম্বর, বায়ু দুষনের পর এবার রাজধানীতে দেখা গেল জল দুষন। বহু দিন ধরেই বায়ুদুষনের কারনে রাস্তায় বেরনো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। এরপর শনিবার জাতীয় মানক সংস্থা ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস)–এর রিপোর্টে জানানো হয়, রাজধানীর জল পানের অযোগ্য! বিশ্বের দূষিত শহরগুলির তালিকায় প্রথমে উঠে এ্ল দেশের রাজধানী। শুদ্ধতার নমুনা পরীক্ষার পর তালিকায় একেবারে শেষে ঠাঁই হয়েছে দিল্লির ও ২০ নম্বরে রয়েছে কলকাতা। কর্পোরেশনের যে জল পাইপের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যায়, সেই জলের নমুনা সংগ্রহ করে বিআইএস পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর এই তথ্য সামনে এনেছে।এছারাও দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ২১টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে পরীক্ষা চালিয়েছিল বিআইএস। সেখানে জানা যায় জলের শুদ্ধতার নিরিখে মুম্বইয়ের স্থান প্রথম।এবং মুম্বাই সমস্ত পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হয়েছে এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হায়দরাবাদ ও তৃতীয় স্থানে ভুবনেশ্বর।
জানা গিয়েছে, জলে আর্সেনিকের মতো রাসায়নিকের উপস্থিতি মিলেছে ব্যপক পরিমানে। দিল্লিতে জলের নমুনা রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় উপভোক্তা,খাদ্য ও গণবণ্টন বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান বললেন, ‘কাউকে দোষারোপ করছি না। দেশ জুড়েই পানীয় জল নিয়ে অভিযোগ আসছে। নোংরা জল থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। আগামী দিন দেশের ১০০টি স্মার্ট সিটির জলের স্যাম্পেল রিপোর্ট তৈরি করা হবে। জল দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
কয়েক মাস আগেই রাজধানী দিল্লির ১১টি জায়গা থেকে জল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয় ও তাতে জানা যায় দিল্লির জল পান করার উপযুক্ত নয়। পাসোয়ান জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মধ্যে ১০০ টী শহরের ভিন্ন ভিন্ন জায়গার জলের নমুনা সংগ্রহ করে রিপোর্ট পেশ করা হবে। কেন্দ্র আগেই জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের গ্রামীণ এলাকায় পাইপের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। এখনও পর্যন্ত দেশের ৭০ শতাংশ এলাকায় পাইপের মাধ্যমে জল পৌঁছায়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, জলের মানের সূচকে বিশ্বের ১২২ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১২০–তে।