যে সে দম্পতি নয়! মালয়েশিয়ার এই যুগল বেশ জনপ্রিয়

যে সে দম্পতি নয়! মালয়েশিয়ার এই যুগল বেশ জনপ্রিয়

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

১৭ নভেম্বর, দুনিয়ায় কত অসম্ভবই না সম্ভব হতে পারে। যা ফের প্রমান করল মালয়েশিয়ায় এক দম্পতি। ইতিমধ্যেই এই ছবি সোশাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। তবে এ দম্পত্তি যে সে দম্পত্তি নয়, এ হল বাঁদর দম্পতি। যাদের মধ্যে রয়েছে অটুট বন্ধন। আর পাঁচজন বিবাহিত নারী-পুরুষের মতোই এরা তাদের জীবন কাটায়। মনে হছে গল্প? না, গল্প মনে হলেও এটি সত্য।

পুরুষ বাঁদর টির নাম কান্দ ও মহিলা বাঁদরের নাম সাকি। অসম্ভব ভালবাসে দুজন দুজঙ্কে। একসাথে হোটেলে খেতে আসে, রাতে একসাথে একই বিছানায় ঘুমায়ও। এদের মালিকের নাম জামিল ইসমাইল। জামিল পেশায় একজন পশুপ্রেমী। জামিল জানিয়েছেন, দু’‌জনের বয়সই এক। দীর্ঘ ৯ বছর জামিলের বাড়িতে দম্পতির মতোই থাকে কান্দ–সাকি।দীর্ঘ চার বছর ধরে জামিল বাঁদর দম্পতিকে সমাজের আদবকায়দা শিখিয়েছে। জামিল বলেন, ‘‌প্রথম প্রথম দু’‌জনেই বাড়ি নোংরা করে রাখত। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে খেয়ে নিত। ঘরের জিনিসপত্র ভেঙে ফেলত। একসময় আমার মাথাব্যথার কারণ হয়ে গিয়েছিল। এমনকি অ্যাকোয়ারিয়াম পর্যন্ত ভেঙে ফেলত। দেখতাম মাছগুলি মেঝেতে পড়ে আছে’‌।

জামিল প্রথমে পুরুষ বাঁদরটিকে একটি নার্সারিতে বন্দি অবস্থায় দেখতে পেয়েছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় কান্দকে কিনে নিতে পারেনি তিনি। এরপর নার্সারিটি দেউলিয়া হয়ে যেতে তারা সমস্ত প্রাণীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখনই কান্দকে বাড়ি নিয়ে আসে জামিল। এরপর কান্দের স্ত্রী খোঁজার কাজ শুরু করেন জামিল। স্ত্রী হিসাবে সাকিকে কিনে বাড়ি আনেন জামিল।

প্রথমদিকে প্রতিবেশীরা অনেক সমালোচনা করেছেন। কিন্তু জামিল কোনকিছুতেই কান দেননি। ধীরে ধীরে তাদের সমাজের মানুষের জীবন যাপনের আদবকায়দা শেখাতে থাকল। আর এখন তাদের জীবন কীরকম তা তো আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। বাঁদরের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটদুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেয়। সেখানে এই দুই দম্পতিকে কাপড় কাঁচতে দেখা গিয়েছিল।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top