৯ ডিসেম্বর, বিরোধীদের তীব্র আপত্তি ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিক্ষোভের মধ্যেই আজই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ পেশ করতে চলেছেন। গত বুধবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রস্তাবিত বিলটিকে অনুমোদন দেয়। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই বিল পাশ করার ফলে অনুপ্রবেশ সমস্যায় পাকাপাকিভাবে লাগাম পরানো যাবে।
৬০ বছর পুরোনো নাগরিকত্ব আইনে হবে পরিবর্তন, আজ বিকেলেই সেই সংশোধনী বিল লোকসভায় পেশ করবেন অমিত শাহ।এর ফলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে উদ্বাস্তু হওয়া অমুসলিমরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন। শিবসেনাও এই বিলটির পক্ষে। তবে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এর বিপক্ষে, তারা মনে করেন, এই বিল তাঁদের জমির ওপর অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে, সাথে আঘাত হানবে জাতিসত্ত্বায়। এর জেরে নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন আগামীকাল এই বিলের বিরুদ্ধে ১১ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে। অসম চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ১৯৭১-র ২৪ মার্চের পর এ দেশে বেআইনি ভাবে যাঁরা এসেছেন, ধর্মনির্বিশেষে তাঁদের সকলকেই বার করে দিতে হবে। ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছিল, ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে হলে শেষ ১৪ বছরের মধ্যে অন্তত ১১ বছর এ দেশে থাকতে হবে।অমুসলিমদের জন্য এই সময়সীমা কমিয়ে ৫ বছর করা হচ্ছে নয়া নাগরিকত্ব বিলে। তার সাথে আরও বলা হচ্ছে, যতদিন তাঁরা নাগরিকত্ব পাচ্ছেন না,ততদিন সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না। তাই বিরোধীরা সকলেই এই বিলের বিরুদ্ধে সরব হবেন।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিল বৈষম্যমূলক বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁর কথায়, ধর্মনির্বিশেষে সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য হলে তৃণমূল তা মানবে না। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা শশী থারুরও এর বিরোধিতা করে বলেন, এই বিল অসাংবিধানিক।