নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৩ ডিসেম্বর, বসিহাট মহাকুমার বসিরহাট থানার হরিহরপুর সোলাদানা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার।বছর (বছর ৩০)এর রুহুল আমিন মন্ডল বাড়ি সোনাদানা থেকেই গ্রেফতার। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে নারী পাচার করে রাজ্যে ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগ ছাড়াও সম্প্রতি জইস এ মহম্মদের মত আন্তরজাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের লিঙ্ক ম্যান হিসাবে কাজ করত বলেও বহু প্রমাণ মিলেছে। এই দুস্কৃতির বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে রুহুল আমিনকে খুজছিলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর। বিগত, ৪ মাস ধরে রুহুল আমিনকে নজরবন্দি করে এন আই এর তদন্ত কারীদের একটি দল। গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর আধিকারিক মোহাম্মদ সাজিদ খানের নেতৃত্বে পাঁচজনের প্রতিনিধিদল আসে। রুহুল আমিনের খুঁজে মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্রাক করে ওকে সোলদানা হরিয়ার পুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার।
ধৃতের বিরুদ্ধে রাজ্য তথা দেশের একাধিক থানায় শিশু ও নারী পাচারের ও বিক্রি এমনকি পতিতালয় দেহ ব্যবসার সঙ্গে কাজে লাগানোর আড়ালে সেই অঞ্চলের সামরিক ও বেসামরিক তথ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে ইন্টারপোলের সাহায্য নেয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে বাড়িতে প্রচুর বাংলাদেশের শিশু ও নারী আশ্রয় দিত। এছাড়া এর কাছ থেকে প্রচুর এদেশে আধার ও ভোটার কার্ড পরিচয় পত্র পাওয়া গেছে। সেইগুলো আসল কি নকল বা কোথা থেকে এই নথিপত্র বের করল সেটাও নজরে আনছে গোয়েন্দা দপ্তর। সেগুলি তদন্ত করে দেখছে। ইতিমধ্যে বসিরহাট মহকুমা আদালতে আজ শুক্রবার তোলা হয় রুহুল আমিন মন্ডল কে। ৫ দিনের এন আই এ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আগামী কাল গোয়েন্দা দপ্তর বিশাখাপত্তনম আদালতে তোলা হবে। তারপর আরো নতুন কোন তথ্য উঠে আসে কিনা সেটা পরে জানা যাবে।