চিঠি ঘিরে পুরসভার দূর্নীতি ও আইনবিরোধী কাজ নিয়ে সরব হলেন প্রাক্তণ পুরপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী

চিঠি ঘিরে পুরসভার দূর্নীতি ও আইনবিরোধী কাজ নিয়ে সরব হলেন প্রাক্তণ পুরপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২৪ ডিসেম্বর, সরকারী চিঠি ঘিরে বির্তক। আর এই চিঠি নিয়ে সরগরম মালদার ইংরেজবাজার পুরসভা।পুরপতির নীহার রঞ্জন ঘোষের অনুমতি ছাড়াই ২৩নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের পুর কাউন্সিলার বর্নালী হালদারকে(কুন্ডু)পুর সম্মানিক বেতন ফেরৎ এর নির্দেশ দিয়েছেন পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার। আর এই চিঠি নিয়ে পুরসভার দূর্নীতি ও আইনবিরোধী কাজ নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার তথা প্রাক্তণ পুরপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। পুর আধিকারিকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে ২৩নং পুর কাউন্সিলার বর্নালী হালদার(কুন্ডু) কাউন্সিলার পদ খারিজ করা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে। তাই এই সময়কালে অর্থাৎ ২০১৭সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯সালের নভেম্বর পর্যন্ত পুর সম্মানিক বেতনবাবদ প্রায় ৪১হাজার টাকা ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কৃষ্ণেন্দুবাবু জানান পুর নির্বাচনের সময় নাবালিক অবস্থায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবং কাউন্সিলার হয়েছিলেন। সেই সময় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানানো হয়। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের তদন্তে বর্নালী হালদারকে(কুন্ড) কাউন্সিলার পদ খারিজ করেছে। বারংবার পুরপতিকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু তিনি কোন কর্ণপাত করেন নি। গত দুইবছর ধরে পুরসভার একজন পুর কাউন্সিলার পদের সমস্ত সরকারী সুযোগ ব্যবহার করেছেন শুধু তাই নয় সম্মানিক বেতনও তুলেছেন। পুরপতি নিজের সুবিধার জন্য পুর আইনকে অমান্য করে এমন কুকীর্তি করেছেন।

এদিকে পুরপতি নীহার রঞ্জন ঘোষ জানান তার অনুমতি ছাড়াই পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার কেন এমন চিঠি করলেন তার কৈফিয়ত তলব করবেন। আর তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা কেন বিষয়টি নিয়ে সরব হচ্ছেন তা তার বোধগম্য নয়। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানাবেন। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অজয় গাঙ্গুলী বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করে জানান রাজ্য সরকার তথা মমতা ব্যানার্জীর সকল নেতৃত্ব ও প্রতিনিধিরা এমনই প্রতারনা করে সরকারী অর্থ তথা জনগনের কর লুঠ করছেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top