
নিজস্ব সংবাদদাতা,বীরভূম, ১৬ ই জানুয়ারী : ঠিক জেএনইউয়ের মতই রাতের অন্ধকারে ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রদের উপর চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটলো এবার বীরভূমের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠলো বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির ছাত্রদের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর বুধবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোষ্টের মাধ্যমে বাম সংগঠনের ছাত্ররা অভিযোগ করে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যাভবন সিনিয়র বয়স হোস্টেলে ঢুকে বহিরাগতরা হামলা চালায় ছাত্রদের উপর। সেই ঘটনায় দুজন ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। আহত দুই ছাত্র হলেন স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায় ও শুভ নাথ। আহতদের রাতেই বিশ্বভারতীর পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাম ছাত্র সংগঠনের দাবি করে, প্রথমেই পূর্বপল্লী রাস্তায় ও পরে হোস্টেলে ঢুকে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের হাতে ছিল রড, উইকেট ইত্যাদি।
হামলার পিছনে আহত ছাত্রের দাবি, সাবের আলী, অচিন্ত্য বাগদি ও আরও এক ছাত্রকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যদিও এই ছাত্ররা একসময় তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকলেও এখন তারা দল বিরোধী কাজ কর্মে যুক্ত বলেও জানা গিয়েছে। অপরদিকে এই ছাত্রনেতারা বিশ্বভারতীর উপাচার্য ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ।
এর আগেও আমরা একই ভাবে হামলার ঘটনা দেখেছিলাম জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঠিক সেইভাবেই এবারও সেই ঘটনা দেখতে হলেও বীরভূমের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৮ তারিখে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়। সেদিন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বিশ্বভারতীতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে বক্তব্য রাখতে এলে বাম সংগঠনের ছাত্ররা ঘেরাও করে। প্রায় ঘণ্টা পাঁচেক ঘেরাও থাকার পর অবশেষে রাত্রি দশটা নাগাদ মুক্ত হন বিজেপি সাংসদ তথা বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।



















