নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২১ জানুয়ারি, পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজে পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে, তার দুদিন পর পঞ্চায়েত ভাঙচুরের অভিযোগে তৃণমূল নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন তৃণমূল প্রধান। সেই ক্ষোভে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। তাদের দাবি, পঞ্চায়েতের দুর্নীতি আড়াল করতেই পঞ্চায়েত ভাঙচুরের মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক তাজমুল হোসেন জানান, যারা কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা তৃণমূলের নাম নিয়ে দল বিরোধী কাজকর্ম করছে। তাছাড়াও পঞ্চায়েতে এমএমডিএস স্কিম নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি। শেফালী খাতুন বা অন্যরা যদি দলেরই সদস্য হত তাহলে তারা দলের নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে বিক্ষোভ কর্মসূচি করতো। এরা পঞ্চায়েতে বিক্ষোভের নামে ভাঙচুর চালিয়েছে তাই এই এফআইআর করা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে শেফালী খাতুন জানান, কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিভিন্ন প্রকল্পে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য বিভিন্ন স্কিম করেছে মমতা ব্যানার্জি-র সরকার। কিন্তু সেগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার মহিলারা। এসমস্ত বিষয় জানতে সেদিন পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল সাথে প্রধানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেদিন প্রধান সহ অন্যান্য আধিকারিকরা অনুপস্থিত ছিলেন আমরা কোথাও অভিযোগ জানাতে পারিনি। পাঁচটা অবধি থেকে আমাদেরকে ঘুরে চলে আসতে হয়। সেদিনের বিক্ষোভের সমস্ত ভিডিও ফুটেজ আছে। বিক্ষোভ এ কোনরকম ভাঙচুর করা হয়নি তার প্রমাণ আমরা দিতে পারব। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আন্দোলনকে ধামাচাপা দিতেই প্রধান এসব কাজ করছে।