২১ জানুয়ারি, ‘খানে কা ঠিকানা নেহি হ্যায় তামবুল কা ফরমাইশ’! এই আপ্তবাক্য এখন স্লোগানে পরিণত হয়েছে পাকিস্তানে। কারণ ওয়াঘা সীমান্তের ওপারের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা৷ পাল্লা দিচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি৷ কিছুদিন আগে টোম্যাটোর দাম হয়ে উঠেছিল আকাশছোঁয়া এরপর রুটি খেতেও দশ বার ভাবার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।কারণ সম্প্রতি আটার দাম গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক কেজি আটার দাম দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা৷ কেউ কেউ এক কেজি আটার জন্য ৭০ টাকাও চাইছেন৷ প্রতি এক সপ্তাহে প্রতি কিলো আটার দাম পাঁচ টাকা করে বাড়ছে, পাক-সংবাদের দ্বারা এমনটাই জানা যাচ্ছে।
তাই গমের দাম কমাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে পাক সরকার।তবু পণ্যটির দাম কমাতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা।এমন আকাশছোঁয়া দামে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস অবস্থা।শনিবার রাজ্য সরকারকে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানার নির্দেশ দিয়েছিলেন ইমরান খান। অন্যদিকে রেস্তোরাঁ এবং ধাবার মালিকরা সোমবার থেকে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক সরকারকে। আগের মূল্যে আটা সরবরাহ করতে হবে সরকারের এমনটাই দাবি করেছেন তাঁরা। তা নাহলে রুটি ও নান-এর দাম অধিক হারে বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হবেন তাঁরা।অনেকে আবার বলেছে, গমের দাম বেড়ে যাওয়ায় আটার দাম বেড়েছে।
পাক সরকার অবশ্য সাফাই গেয়ে বলছেন, গমের দাম বাড়ার খবর ভুয়ো। চার মিলিয়ন টন গম মজুত রয়েছে সরকারি গুদামে। এমনভাবে লাফিয়ে দাম বাড়ার কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছে না সরকার।