২৬ জানুয়ারি, ফের একবার প্রকাশ্যে এল পাকিস্তানের মাটিতে সংখ্যালঘু নির্জাতনের ঘটনা।পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের দুই হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে, জবরদস্তি ধর্মান্তকরণের অভিযোগে নড়েচড়ে বসল ইসলামাবাদ। ঘটনার পর নির্যাতিতাকে মহিলা নিরাপত্তা সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে পাকিস্তানের মাটিতে সংখ্যালঘু নিরাপত্তা।
জানা গিয়েছে, ১৫ জানুয়ারি সিন্ধ প্রদেশের জেকোবাবাদ শহর থেকে মেহেক কুমারি নামে নবম শ্রেণি র ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। আলি রাজা সোলাঙ্গি নামের এক ব্যক্তি তাকে জোর করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করে এবং বিয়েও করে। এদিকে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানান মেহেকের বাবা বিজয় কুমার। তিনি নিজের মেয়ের বয়স ১৫ বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, হোলির উত্সব চলাকালীন দুই হিন্দু কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে পাকিস্তানে। শুধু অপহরণই নয়, ওই দুই নাবালিকাকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ সিন্ধের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এই ঘটনায় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়েও তাঁরা ক্ষুব্ধ। কারণ সিন্ধ প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি। বাধ্য হয়েই ধরনায় বসেছেন অপহৃত দুই কিশোরীর বাবা-মা।উল্লেখ্য, ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও ৩৭০ ধারা নিয়ে গলা ফাটালেও পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে নিরব ইমরান খানের সরকার। অভিযোগ, শুধু হিন্দু নয়, বহু শিখ কিশোরী ও তরুণীকেও অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে ওই দেশে।