২৭ জানুয়ারি, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বেশ কিছু মাস ধরে চলছে মিছিল।আইন কার্যকর হওয়ার পরই রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছিল বাংলা সহ গোটা দেশ।দেশ ছেড়ে যেতে হবে এমনটাই ভয় পাচ্ছে এক দল মানুষ।সাথে এই বিল সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ সৃষ্টি করবে, অনুমান তাদের।তবে এরপরই অমিত শাহ বলেন, ‘‘এনআরসি তৈরি করার আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনছে ভারত সরকার। ভারতে যত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান এসেছেন, তাঁদের সবাইকে চিরকালের জন্য নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়া হবে।’’ সাথে প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ভারতে চলে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দিতে ওই বিল সংসদে পেশ করা হয়েছিল।আর এই বিল কে দেশের বহু নাগরিক সম্মানও জানিয়েছেন।
এবার এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সংববর্ধনা দেওয়ার ভাবনা চলছে বাঙালি উদ্বাস্তু সংগঠনের। এর আগেই সিএএ-র জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন উদ্বাস্তু বাঙালিদের সংগঠন। সূত্রের খবর, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে কর্নাটকে বাঙালি উদ্বাস্তু সংগঠনের কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেই সংবর্ধনা জানানো হবে অমিত শাহকে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে একদিকে যখন কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছে বিজেপি-বিরোধীরা অন্যদিকে এই আইন নিয়ে আনন্দে ভাসছে বাঙালি উদ্বাস্তু সমন্বয় সমিতি।শুধু বাংলা নয় সারা দেশের যে সব জায়গায় বাঙালি উদ্বাস্তুরা রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে কাজ করে এই নিখিল ভারত বাঙালি উদ্বাস্তু সমন্বয় সমিতি। উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে চলেছে এই সংগঠনটি। আর তাই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করায় সংস্থার তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।