সামনে এল খড়্গপুরের এক নতুন ইতিহাস

সামনে এল খড়্গপুরের এক নতুন ইতিহাস

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ ফেব্রুয়ারি, খড়গপুর নামটা দেশের বাইরেও যথেষ্ট পরিচিত। ভারতবর্ষের দীর্ঘতম প্লাটফর্মগুলির মধ্যে অন্যতম হল খড়গপুর প্ল্যাটফর্ম। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বৃহত্তম এই জংশন দেশের সমস্ত অংশের সঙ্গে যুক্ত রেললাইনে।তবে অতি পরিচিত এই খড়গপুর নামটার পেছনে কোন ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে তা আজও বেশিরভাগ মানুষের অজানা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমান জনবহুল সর্ব জাতি সমন্বিত খড়্গপুর শহর একসময় জঙ্গল ছিল। জঙ্গলের মাঝখানে একটা খড়গেশ্বর দেবতার মন্দির ছিল। প্রাচীন শ্রুতি অনুসারে-পঞ্চ পান্ডবদের দ্বারা এই খড়গেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তারাই জঙ্গলের ভিতরে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পূজা প্রচলন করেছিলেন। স্থানীয় ভক্তদের দাবি এই মন্দিরের বয়স প্রায় এক হাজার বছরেরও বেশি।

পরবর্তী শ্রুতিতে ইংরেজরা জড়িত। স্থানীয় একদল বাসিন্দা বলেন-ইংরেজরা এদেশে রেলপথ স্থাপনের সময় খড়গপুরকে বেছে নিয়েছিলেন একটি প্ল্যাটফরম তৈরীর জন্য। জঙ্গল পরিষ্কার করে রাস্তা তৈরি সময় এই মন্দিরের নাম তারা শুনেছিলেন। তারাই খড়গেশ্বর এর নামানুসারে স্থানটির নাম খড়গপুর দিয়েছিলেন। সেই থেকেই এই খড়গপুর ধীরে ধীরে বিকশিত হতে শুরু করেছিল। খড়গপুর প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে এই মন্দির আজও একইভাবে বিরাজমান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান খড়গেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে বহু মানুষ ভিড় জমান আজও। খড়্গপুরের প্রাণপুরুষ নাকি এই খড়গেশ্বর। তাই স্থানীয় হিন্দুরাই নয়,খড়গপুরে বসবাসকারী ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষাভাষী লোকজনেরা সমানভাবে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুজো করে এই খড়গেশ্বর দেবতার। খড়গপুর শহরের একপ্রান্তে হলেও আজও সমাদৃত এই খড়গপুর নামকরণের আসল কারণ খড়গেশ্বর এর মন্দির।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top