২২ মার্চ, সোমবার থেকে কলকাতা সহ রাজ্যের সব পুর এলাকায় ‘লকডাউনে’র সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।এর আগে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রেলমন্ত্রক। তবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে বলে জানানো হয়। এদিকে দেশজুড়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ‘লকডাউনের’ সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আরও তিন’জনের মৃত্যু হল। এই নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল সাত। ৬৩ বছরের মুম্বইয়ের বাসিন্দা ছাড়াও করোনার বলি বিহারের এক যুবক ও সুরাটের বৃদ্ধ। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৭০।জনতা কার্ফু-তে সায় দিয়েছে দেশের নাগরিক। কারফিউ-এর দিনেই ভারতীয় রেলে লক ডাউন-এর কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রণালয়। এবার রেলের রেলের পথেই হাঁটলেন রাজ্যের সরকার। লকডাউন জারি করেছে রাজ্যের সরকার। রাজ্যের সব পুরসভা এলাকায় লকডাউন থাকবে বলে ঘোষণা করলেন।
২৩ মার্চ বিকেল ৪টের পর থেকে লকডাউন হয়ে যাচ্ছে কলকাতা-সহ রাজ্যের সমস্ত পৌর শহরগুলো। এই লকডাউনের সময় শুধুমাত্র মিলবে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। ৩১ মার্চ পর্যন্ত থাকবে লকডাউন পরিস্থিতি। কেন্দ্রের সঙ্গে মুখ্যসচিবদের পরামর্শে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের মোট ৭৫টি জায়গায় লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। পেট্রোপণ্য যেমন ডিজেল, কেরোসিন, ন্যাপথা, খাদ্যদ্রব্য, ওষুধের দোকান,প্যাথলজি ল্যাবের মতো জরুরি পরিষেবা পাবে সাধারণ মানুষ। অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, চিকিৎসা ব্যবস্থা লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।