২৮ মার্চ, দিন দিন ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, আর তাই সংক্রমণ কমাতে নিজেকে গৃহেবন্দি করতে বাধ্য হয়েছে দেশবাসী।আপাতত এই সিদ্ধান্ত ভাঙতে পারে ভাইরাসের চেন, মনে করেছেন চিকিৎসকেরা।ইতিমধ্যে নানান পরীক্ষা করে এই ভাইরাস প্রতিরোধের প্রতিরোধক আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এবার করোনার বংশবৃদ্ধি থামিয়ে দেওয়ারই অস্ত্র খুঁজে বের করার দাবি করলেন টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের জীবনবিজ্ঞান গবেষণাগারের চার বিজ্ঞানী।যার মধ্যে একজন হলেন বাঙালি।
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ৩১টি মলিকিউলের সন্ধান দিয়েছেন পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা বিজ্ঞানী অরিজিৎ রায়।এই মলিকিউল করোনা ভাইরাসের বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক প্রোটিয়েজের কর্মক্ষমতা কেড়ে নিতে সক্ষম, এমনটাই দাবি করা হয়েছে।ইতিমধ্যেই এই গবেষণার ভিত্তিতে CSRI -এর ল্যাবেটরিগুলিতে শুরু হয়েছে সিন্থেসিসের কাজ।মনে করা হচ্ছে কোনও প্রাকৃতিক উপাদান থেকে এই মলিকিউলগুলি পাওয়া যেতে পারে, তারই চলছে লাগাতার খোঁজ।
অরেন্টামাইড নামক এক ধরণের উদ্ভিজ উপাদানের সঙ্গে দুটি ক্ষেত্রে জোরদার সাদৃশ্য মিলেছে, কিন্তু এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের বংশনাশ করাই আপাতত মূল লক্ষ।এখন এরূপ ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে এই খবর এক বিরাট আশার আলো দেখাচ্ছে।কারণ সাধারণভাবে এই ধরণের মলিকিউল খুঁজে বের করতে যেখানে ৪ থেকে ৫ বছর সময় লাগতে পারে সেখানে টিসিএসের বিজ্ঞানীদের ৪ থেকে ৫ দিন সময় লেগেছে। এরমধ্যে সমস্যা হল, এই মুহূর্তে লকডাউনের জন্য পরীক্ষা করার মতো উপযুক্ত প্রাণীর অভাব গোটা বিশ্বেই কিন্তু তবুও বিজ্ঞানীরা অনবরত পরীক্ষার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে ও যত দ্রুত সম্ভব এই ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি আটকাতে সক্ষম হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।এ সকল তথ্যের ভিত্তিতে যেন বিশ্বের কেউ ওষুধ তৈরির পথে এগিয়ে যেতে পারে, সেটাই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।