নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া, ৬ এপ্রিল, ‘ওরা লকডাউন কি জানে না, ওরা শুধু জানে পেটের জ্বালা’।
সারাদিন এখানে ওখানে ঘুরে বেড়িয়ে আর পাঁচটা দিনে যা জোটে তা দিয়েই পেটের জ্বালা মেটায় ‘ওরা’।বর্তমান ভারত এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন।চীন থেকে আসা করোনা ভাইরাস এখন সারা বিশ্বে ২০০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।আর এই সংক্রমণ রুখতে চলছে ‘লকডাউন’।রুজি-রোজকার ছেড়ে জমানো টাকা দিয়েই চলছে পেট।কিন্তু দেশের মাটিতে রাত-দিন কাটানো মানুষগুলো আজ বড় অসহায়।
ভবঘুরের মতো এখানে ওখানে ঘুরে যারা ভিক্ষা করে, ফেলে দেওয়া খাবারে আশায়, কিছু মানুষের দানকে কেন্দ্র করে জীবন চালায়।আজ তাদের সেই জীবনের গাড়ি থমকে গিয়েছে, যেন চলছেই না।শুধু অপেক্ষায় আছে কবে সব স্বাভাবিক হবে।গৃহবন্দী মানুষের থেকেও তাঁরা যেন অনেক বেশি নতুন করে সব শুরু হওয়ার আশায় দিন গুনছে।কারণ রাত হোক বা সকাল পেটের জ্বালায় তাঁরা আর পেরে উঠছে না।তবুও তাদের সংগ্রামের অন্ত নেই।খুঁজে বেড়াচ্ছে কোথাও যদি খাবার মেলে! তবে একদিন মিললেও পরেরদিন আবার আকাল।খাবার পেতে ওদের হানা চলছে নোংরা ফেলার স্থানে।
এখন একমাত্র প্রশাসন হয়তো এই মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়াতে পারে।তবে প্রশাসনের পাশে আমাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।একদিন নয়, প্রতিদিনের এই অসহায় মানুষগুলোর খাবার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার দায়িত্ব এবার নেওয়ার পালা।যদি এখন না এগিয়ে আসা হয় তবে আর কবে? এই পরিস্থিতিকে কাটাতে এবার সকলকেই একত্রে লড়তে হবে। মনে পড়ে যায় সেই বিখ্যাত গায়ক ভূপেন হাজারিকার গলায় গাওয়া গান, ‘মানুষ মানুষের জন্য, একটু সহানুভূতি মানুষ কি পেতে পারে না ?’