নিজস্ব সংবাদদাতা, ৩ জুলাই: – ‘এক দো তিন…’ ,কয়েক টা নম্বর দিয়ে তৈরি গানের নাচ একটা ইন্ডাস্ট্রির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে এটা ভাবাটা হয়তো অসম্ভব ছিল একটা সময়। কিন্তু চিন্তা ভাবনা ওলোট পালট করে দিয়েছিলেন নেপথ্যের এক শিল্পী, মাস্টারজী। ‘কোরিওগ্রাফার শব্দ টা কে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন সরোজ খান’, এ মন্তব্য স্বয়ং ধক ধক কন্যার। অবশেষে সেই যুগের ইতি, বিভীষিকাময় ২০২০ তে আরও এক নক্ষএ পতন।প্রয়াত হলেন হিন্দি ছবির বিশিষ্ট কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ১৭ জুন বান্দ্রার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। আজ রাত ১.৫২ নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তিন বছর বয়সে নেপথ্য নৃত্যশিল্পী হিসেবে ছবিতে কাজ শুরু করেন সরোজ জী।‘গীতা মেরা নাম (১৯৭৪) ছবিতে একক নৃত্য পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। দুই হাজারেরও বেশি গানের নৃত্য পরিচালনা করেছেন তিনি। তিনবার শ্রেষ্ঠ কোরিওগ্রাফারের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ‘এক দো তিন,ধক ধক ও ডোলা রে ডোলা, মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে তার যুগলবন্দী হিন্দী ছবিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। নৃত্যশৈলী তে মৌখিক ভঙ্গিমার ব্যবহার তার থেকে আর ভালো করে অন্য কেউ দেখাতে শেখাতে পারতেন না এ দাবি মাধুরী, কাজলের।তাঁর শেষ কোরিওগ্রাফ ‘কলঙ্ক’ ছবির ‘তবাহ হো গয়ে’।
সরোজ খানের মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।