নিজস্ব সংবাদদাতা,জলপাইগুড়ি:- রাত পোহালেই মহালয়া। তার আগে বছর চারেকের ছোট্ট রায়াশ্রীকে ছোট্ট উমা সাজিয়ে প্রায় চার ঘন্টা ধরে ফোটোশুট করলো মালাকার পরিবারের সদস্যরা। প্রায় ছ’মাস পর প্রানভরে মুক্ত বাতাস নিতে পেরে খুব খুশী রায়াশ্রী।করোনার আতঙ্কে দীর্ঘদিন লক ডাউন রয়েছে কচিকাঁচারাও। প্রায় ছ’মাস ধরে গৃহবন্দী থেকে দমবন্ধ হয়ে আসছিলো তাদেরও। অবশেষে একঘেয়েমি কাটিয়ে মুক্ত বাতাস নিতে ফোটোশুট করে সোসাল মিডিয়াতে আপলোড করার সিদ্ধান্ত নিয়ে টানা ৪ ঘন্টা ধরে জলপাইগুড়ি শহরের রাজবাড়ী, তিস্তা পারের কাশবন সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নিজেরাই ফোটোশুট করলেন। সেই ভিডিও এবার ফেসবুক সহ অন্যান্য সোসাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেবেন তারা।
গৃহবধূ সংযুক্তা মালাকার জানান টানা লক ডাউনে ঘরে থাকতে থাকতে বাচ্চারা মানসিক ভাবে অস্থির হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা আমাদেরও। রাত পোহালে মহালয়া। আর একমাস পরে পূজো আসছে। এইভাবে ঘরবন্দী আর কতদিন। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমার মেয়েকে উমা সাজিয়ে জলপাইগুড়ি শহরের আশেপাশে বিভিন্ন যায়গায় গিয়ে মোবাইল ও বাড়িতে থাকা এস এল আর ক্যামেরা দিয়ে আমরা নিজেরাই ফোটোশুট করে সেই ভিডিও সোসাল মিডিয়া তে আপলোড করবো। সেইমতন আমরা বাচ্চাকে সাজিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। শুরু হোলো শুট। চলবে রাত পর্যন্ত। এরপর এডিট করে আপলোড করবো। অনেকদিন পর আজ আমরা দারুন আনন্দের মধ্যে কাটবে দিনটা। বাচ্চাটাও মানসিক শান্তি পেলো বলে জানান তিনি।