নিউজ ডেস্ক, ৩ অক্টোবর, ২০২০ : কোনটা ডিপ্রেশন আর কোনটা মন খারাপ সেটা বুঝে ওঠার আগেই কখন আপনি এই গভীর অসুখে চলে যাবেন বুঝতেই পারবেন না। কারণ ডিপ্রেশন শব্দটার এতটাই গভীরতা রয়েছে যে কোনো মানুষের প্রাণও কেরে নিতে পারে এই ডিপ্রেশন।
আসলে জীবনের চড়াই উৎরাই এ প্রায় খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে পেরোতে হয় আমাদের। মন খারাপ লেগেই থাকে।কিন্তু কখন এই মন খারাপ ডিপ্রেশনের রূপ নিয়ে নেয় তা বুঝতেই দেরি হয়ে যায়। একনজরে জেনে নিন আপনি ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন কিনা তা বুঝবেন কি করে ….
১) মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তি জীবনের প্রতি আশাহীন হয়ে পড়ে. তারা এটা মানতেই চায় না যে কিছু ভালো ঘটতে পারে।
২) ছেলেদের ক্ষেত্রে মানসিক অবসাদের আরেকটি বড় লক্ষণ হলো অতিরিক্ত বিরক্তি, কোনো কারণ ছাড়া রাগ।
৩)নিজেকে সব বিষয়ে দোষী মনে করা কিংবা নিজেকে অন্যের তুলনায় ছোট মনে করাও অবসাদের লক্ষণ।
৪)ডিপ্রেশনের মারাত্বক একটি ব্যাপার হলো আত্মহত্যার প্রচেষ্টা. কোনো ব্যক্তি ক্রমাগত হীনমন্যতায় ভুগলে স্বাভাবিকভাবেই জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং নিজেকে শেষ করে ফেলার প্রবণতা তার মধ্যে দেখা দেয়।
৫)সব ভালো লাগা কাজের প্রতি উৎসাহ হারানোও কিন্তু মানসিক অবসাদের আরেক লক্ষণ।
৬)মানসিক অবসাদের অন্যতম লক্ষণ হলো সারাক্ষন ক্লান্তি ও ঘুমের সমস্যা।
৭)অবসাদগ্রতস্ত ব্যক্তি হয় খুব বেশি পরিমাণে খেতে শুরু করে বা একেবারেই খাওয়া কমিয়ে দেয়।
৮)মানসিক অবসাদের আরো একটি লক্ষণ হলো অনিয়ন্ত্রিত আবেগ।
আরও পড়ুন…এবারে দুর্গাপুজোয় দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ মল্লিক বাড়ির পুজো
যদি আপনার সাথে উপরের এই লক্ষণ গুলির সাথে মিল থাকে,তাহলে অবশ্যই মানসিক রোগের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সাইকোলজিস্ট এর কাছে যাওয়া মানেই আপনি পাগল নয়। এই ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।এবং মন খুলে সকলের কাছে নিজের সমস্যা বলুন। সদা হাসি খুশি থাকুন। ভালো থাকুন।