নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, ৭ অক্টোবর, ২০২০: মণীশ খুনে উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, মণীশ শুক্লাকে খুন করার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল ব্যারাকপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চানন তলার একটি ফ্ল্যাটে বসে। এমনটাই অনুমান করছে পুলিশ। পাশাপাশি, খুনের তিন দিন পর আজকে ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেন্সিক দল।
সুত্রের খবর, মণীশ শুক্লার খুনে গ্রেফতার করা হয়েছিল নাসির খানকে। তিনিই নাকি মণীশ খুনের আগে পুরোটা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। মণীশের সমস্ত গতবিধির উপর নজর রাখছিল। তাঁকেই সি আই ডি জেরা করার পর ওই ফ্লাটের খবর পায়। তবে সেখানে গেলেও মুল অভিযুক্তকে ধরতে পারেনী পুলিশ। শুধুমাত্র ফোন পেয়েছে তাঁর।ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করেছে অন্য এক ব্যাক্তিকে। তদন্তের স্বার্থে সেই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে নী পুলিশ। এবং গতকাল রাতে ক্যনিং এ সি আই ডি ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও ২ সন্দেভাজনকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি, খুনের তিন দিন পর আজকে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল ফরেন্সিক দল। সেখান থেকে মণীশের রক্ত সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক দল। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, খুররামকে। ব্যারাকপুর আদালত তাঁদেরকে গতকালই ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত নিয়েছে সিআইডি। জানা গিয়েছে,কয়েক বছর আগে খুন হয়েছিলেন খুররমের বাবা মহম্মদ ইসলাম। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল মণীশ শুক্লার।
আরও পড়ুন… চার চাকার গাড়ি দিয়ে রেলগেট ভেঙে পালালো যুবক
তারপর থেকে বেশকয়েকবার মণীশকে খুনের চেষ্টাও করেছিল খুররাম। মণীশের বাবা এফআইআরে সেই খুররমের নাম উল্লেখ করেছেন । আবার, জুটমিলে ইউনিয়ন ঢোকান থেকে একাধিক অভিযোগ উঠছে মণীশ শুক্লার বিরুদ্ধে। সুতরাং তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততটাই ঘনিভুত হচ্ছে মণীশ শুক্লার খুনের ঘটনায় কারা জরিয়ে আছে তাঁদের জাল। আদৌ কি রাজনৈতিক যোগ যাজগ রয়েছে? সেই প্রশ্নই উঠছে।