প্রধানমন্ত্রী সপ্তদশ আসিয়ান ভারত শীর্ষ বৈঠকে ভাষণ দিয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী সপ্তদশ আসিয়ান ভারত শীর্ষ বৈঠকে ভাষণ দিয়েছেন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নয়াদিল্লী, ১২ নভেম্বর, ২০২০ঃ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আসিয়ানের বর্তমান সভাপতি ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নগুয়েন সুওন ফুক-এর আমন্ত্রণে আজ সপ্তদশ আসিয়ান ভারত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত ১০টি রাষ্ট্রের সকলেই যোগ দিয়েছে।

এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির কেন্দ্রে আসিয়ান রয়েছে বলে জানিয়েছেন। ভারত এবং আসিয়ানের মধ্যে একটি সংযোগশীল, দায়িত্বশীল ও সমৃদ্ধশালী সম্পর্ক রয়েছে যেটি আসলে ভারতের ‘ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রেক্ষাপট’ এবং এই অঞ্চলের সকলের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের কর্মসূচি- সাগর (সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ ফর অল ইন দ্য রিজিয়ন)নীতির প্রতিফলন। ভারতের ‘ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় উদ্যোগ’ এবং আসিয়ানের ‘আউটলুক অন ইন্দো-প্যাসিফিক’ নীতির ওপর প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন। ভারতের এই উদ্যোগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির তিনি সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন।
কোভিড-১৯এর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এবং প্রতিবেশীদের সাহায্যের উদ্যোগ ভারত নিয়েছে। এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আসিয়ানের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। বৈঠকে কোভিড-১৯ আসিয়ান রেসপন্স ফান্ডে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলারের অনুদানের কথা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন।
আসিয়ান ও ভারতের মধ্যে ব্যক্তিগত ও ডিজিটাল সংযোগের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে ভারতের ১০০ কোটি মার্কিন ডলার মূলধনের সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে কোভিড পরবর্তী সময়ে সরবরাহ শৃঙ্খলকে দৃঢ় করতে বিভিন্ন ব্যবস্থার ওপর তিনি জোর দিয়েছেন।

আরও পড়ুন…অর্থমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারত ৩.০-র কর্মসূচি ঘোষণা

আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নেতৃবৃন্দ এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভারতের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন। আসিয়ানের বিষয়ে ভারতের সমর্থনকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন। ২০২১-২৫ সাল পর্যন্ত নতুন আসিয়ান ভারত প্ল্যান অফ অ্যাকশন গ্রহণ করার বিষয়টিকেও নেতৃবৃন্দ স্বাগত জানিয়েছেন।
বৈঠকে দক্ষিণ চীন সাগর ও সন্ত্রাসবাদের মতো অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি ছাড়াও বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউএনসিএলওএস সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইন মেনে এই অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালনার ওপর উভয় পক্ষই জোর দিয়েছে। শান্তি, স্থিতাবস্থা, নিরাপত্তা ও দক্ষিণ চীন সাগরের সুরক্ষার ওপর নেতৃবৃন্দ গুরুত্ব আরোপ করেছেন এবং নৌচলাচল ও বিমান চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top