নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তর ২৪পরগণা,২৯ নভেম্বর ,২০২০: “সুন্দরবন এ নিজের বিয়ে নিজেই রুখে দৃষ্টান্ত নজির গরলো নাবালিকা ছাত্রী”।বসিরহাট মহাকুমার হাসনাবাদ থানার বরুনহাট গ্রামের ঘটনা। বছর ১৪এর নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়েছিল প্রতিবেশী সর্দার পাড়ার যুবক সেলিম মোল্লা সঙ্গে। পেশায় শ্রমিকের কাজ করেন।

আজ রবিবার দুপুর বেলা বিয়ের সব কিছু আয়োজন প্রস্তুত। বাড়িতে আত্মীয়রা ভিড় করেছে, প্যান্ডেল থেকে মেয়ের মেহেন্দি শেষ হয়েছে। কিন্তু এই বিয়েতে স্বয়ং ছাত্রী নিজেই রাজি নন। সে পড়াশোনা করতে চায়, তাই হাসনাবাদ থানার পুলিশ প্রশাসনের কাছে টোল ফ্রি ১০০ নম্বর ডায়াল করে বিস্তারিত জানান। বিয়ে করবেন না নাবালিকা। এই ঘটনা জানার পরে হাসনাবাদ বিডিও মুস্তাক আহমেদ হাসনাবাদ থানার পুলিশ আধিকারিক মকবুল গাজীর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রশাসন। এই বিয়ে বন্ধ করে দেয়।

মেয়ের বাবা জিয়াদ মোল্লা কাছ থেকে মুচলেকা নেন। যে তাকে পড়াশোনা করানোর জন্য সবরকম ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসন তাদের পাশে আছে। ছাত্রীর এই সাহসিকতার পরিচয় দেখে বরুনার হাইস্কুলের ছাত্রীর অন্যান্য সহকর্মীরা তাকে দুহাত ভরে বাহবা দিচ্ছেন ।আগামী দিনে সুন্দরবন এ বাল্যবিবাহ রোধে এই ছাত্রীর ভূমিকা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে তা বলা বাহুল্য। ছাত্রী যতদিন পড়াশুনো করতে চায় ততদিন তাকে তার বাবা-মা বিয়ে দেবে না বলে লিখিত জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।