জাতীয় মহাসড়কের সুনির্দিষ্ট কিছু অংশ আইআইটি, এনআইটি এবং অগ্রণী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি গ্রহণ করবে

জাতীয় মহাসড়কের সুনির্দিষ্ট কিছু অংশ আইআইটি, এনআইটি এবং অগ্রণী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি গ্রহণ করবে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নয়াদিল্লি, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২০ দেশের অগ্রণী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সহ আইআইটি, এনআইটি এবং এআইসিটিই অনুমোদিত একাধিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ভারতের জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্বেচ্ছায় সামিল হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পক্ষ থেকে জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ধরনের যৌথ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যই হ’ল জাতীয় মহাসড়কগুলির সুনির্দিষ্ট কিছু অংশ গবেষণাধর্মী কাজকর্ম পরিচালনার জন্য গ্রহণ করা।

এই উদ্যোগের ফলে অগ্রণী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ উভয়ই সমান লাভবান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে পারস্পরিক যোগসূত্র গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যার ফলে জাতীয় মহাসড়কগুলির নির্দিষ্ট কিছু অংশে গবেষণাধর্মী কাজকর্ম পরিচালনা ছাড়াও সিভিল/হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতবিনিময়, ছাত্রছাত্রীদের সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা গড়ে তোলাও সম্ভব হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে শিল্প সংস্থাগুলির এ ধরনের পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে তোলার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।
এই উদ্যোগের আওতায় অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলি মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে সুরক্ষার নানা দিক, মহাসড়কগুলি রক্ষণা-বেক্ষণ, যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য, যানজটপূর্ণ এলাকাগুলিতে যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে পারবে। এর ফলে, জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলির এই প্রয়াসে লাভবান হবে। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানগুলি মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রকল্পের রূপরেখা নির্মাণ, নক্শা প্রণয়ন ও নতুন প্রকল্প প্রস্তুতির কাজেও যুক্ত হতে পারবে। এমনকি, অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলি জাতীয় মহাসড়কের সংশ্লিষ্ট অংশে সেখানকার স্থানীয় আবহাওয়া, জলবায়ু ও সম্পদের প্রাচুর্যের ওপর ভিত্তি করে উদ্ভাবনমূলক ধ্যান-ধারণা সম্পর্কে মহাসড়ক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। পক্ষান্তরে, এই উদ্যোগগুলির ফলে জাতীয় মহাসড়ক লাগোয়া স্থানীয় এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে এই উদ্যোগ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্থানীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার ব্যাপারে অবদান রাখতে উৎসাহিত করবে। জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষও প্রতি বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্নাতক স্তরের পরিজন এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পরিজন ছাত্রছাত্রীকে ইন্টার্নশিপ বা উৎসাহ ভাতা দেবে। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চিহ্নিত জাতীয় মহাসড়কের সংশ্লিষ্ট অংশ গবেষণাধর্মী কাজকর্ম রূপায়ণে দু’মাস এই উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে। জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের দু’মাসের উৎসাহ ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণাগারের পরিকাঠামো তৈরিতে সহায়তা করবে, যাতে মহাসড়কের সংশ্লিষ্ট অংশে প্রয়োজনীয় গবেষণাধর্মী কাজকর্ম রূপায়ণে সহায়তা পাওয়া যায় এবং সড়কের মানোন্নয়নে বিকল্প সম্পদের ব্যবহার নিয়ে আরও পর্যালোচনা করা যায়।জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগে স্বল্প সময়ের মধ্যেই অগ্রণী একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৮টি আইআইটি, ২৬টি এনআইটি এবং ১৯০টি অগ্রণী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এই উদ্যোগে সামিল হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। ইতিমধ্যেই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে মহাসড়কের নির্দিষ্ট অংশে গবেষণাধর্মী কাজকর্ম চালানোর জন্য দায়িত্ব গ্রহণের ব্যাপারে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করা হচ্ছে। ২০০টি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার জন্য সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষর করেছে। দেশের ৩০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান, যেখানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়, সেগুলি এই কর্মসূচিতে সামিল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top