নিউজ ডেস্ক ১০ ডিসেম্বর ২০২০: সফরে এসেছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার পথে তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়।
এমনকি কনভয় টার্গেট করে রাস্তার দুধার দিয়ে ইট বৃষ্টি ও চলে। কনভয়ে অন্যান্য বিজেপি নেতাদের গাড়িও আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ পাথর ইট ছুঁড়ে কৈলাস বর্গীয়র গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। ভেঙ্গেছে মুকুল রয়ের গাড়ির কাঁচ ও। এরকম পরিস্থিতিতে এক বিজেপি কর্মীর মাথাও ফেটেছে বলে অভিযোগ।উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষ সকালেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ডায়মন্ড হারবারের পথে সম্ভবত রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ প্রদর্শন করে নাড্ডার যাত্রাপথ আটকাতে চাইবে তৃণমূল। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। এছাড়া, কুলপির হটুগঞ্জে কৃষি আইনের প্রতিবাদে তৃণমূলের অবরোধ। শিরাকোলে অবরোধ করে তৃণমূল। যার ফলে আটকে যায় কনভয়। সেখানেও লাগাতার ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির স্বীকার হতে একের পর এক বিজেপি নেতা-কর্মীদের। অন্যদিকে, এই ঘটনায় কৈলাশ বিজয়রবর্গীয় বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। যেভাবে এদিন হামলা হল তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ডায়মন্ড হারবারকে ওরা (তৃণমূল) শেষ কেল্লা বলে মনে করছে। এমন ভাব করছে যেন, বিজেপি ঢুকলে সরকার পড়ে যাবে। তাই সর্বশক্তি দিয়ে দুষ্কৃতী ও সমাজবিরোধীদের একত্রিত করছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখছে। এরাজ্যে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না।ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা। এই প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, মানুষের সতরফুর্ত হামলা। তবে এভাবে ইটবৃষ্টি না হওয়াই ভালো ছিল।
আরও পড়ুন…‘এরা কংগ্রেস আর কমিউনিস্টদের লোক’, কৃষক আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের
তবে নাড্ডা তো প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি নন, যে গোটা রাস্তায় পুলিশ দেওয়া হবে। তবে উনি অভিষেকের কেন্দ্রে না গেলেই ভালো করতেন।