মৃতপ্রায় শিশুকে ১৮ ঘন্টা ভেন্টিলেশনে রেখে প্রাণ বাঁচিয়ে নজির গড়ল সিউড়ি সদর হাসপাতালে ডাক্তার

মৃতপ্রায় শিশুকে ১৮ ঘন্টা ভেন্টিলেশনে রেখে প্রাণ বাঁচিয়ে নজির গড়ল সিউড়ি সদর হাসপাতালে ডাক্তার

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা ১২ ডিসেম্বর ২০২০ বীরভূম: বাড়ির মধ্যে থাকা বিষাক্ত কিছু খেয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় খুদে এক শিশু। শিশুটির পরিস্থিতি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন চিকিৎসকেরা।

তবে চিকিৎসকরা মৃতপ্রায় ওই খুদে শিশুকে সুস্থ করে তোলার জন্য এক প্রকার দীর্ঘ প্রতিজ্ঞ হয়ে পড়েন। যার পরেই চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠে ওই শিশুটি। শিশুর অভিভাবকেরা এখন চিকিৎসকদের মধ্যেই সাক্ষাৎ ভগবান দর্শন করছেন।বীরভূমের দুবরাজপুরের ফকিরপাড়ার শেখ নুরতাজিম নামে এক ব্যক্তির ১ বছর ৫ মাসের শিশুটি গত বুধবার বাড়ির মধ্যে খেলা করতে করতে বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেলে। যার পরে ওই শিশুটি রেসপিরেটরি ফেলিওর অবস্থায় সিউড়ি সদর হাসপাতাল বা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসকেরা ওই শিশুর পরিস্থিতি দেখে সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন দিয়ে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করেন। যার পর আবার ওই শিশুটিকে দিতে হয় মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটরে। যেখানে তাকে ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা রাখা হয়। এরপর মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটর থেকে বের করে ওই শিশুর বিষক্রিয়ার চিকিৎসা শুরু করা হয়। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসক ডাঃ লিয়াকত আলী, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরণ্য দত্ত এবং সিউড়ি সদর হাসপাতালে অন্যান্য নার্সদের সহযোগীতায় বর্তমানে ওই শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠেছে। যার পরেই ওই শিশুর বাবা জানিয়েছেন, “চিকিৎসকরা যেভাবে উঠে পড়ে আমাদের বাচ্চাকে সুস্থ করে তুলেছেন তাতে আমরা চিকিৎসকদের মাধ্যমেই সাক্ষাৎ ভগবানকে দেখতে পাচ্ছি। দেড় বছরের কম বয়সী ওই খুদে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার পর শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরণ্য দত্ত জানিয়েছেন, “এই শিশুটির ক্ষেত্রে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আর কয়েক মুহূর্ত দেরি হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হতো না। যাইহোক আমাদের চিকিৎসক এবং নার্সদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ওই শিশুটির প্রাণ ফেরানো সম্ভব হয়েছে। শুক্রবার ওই শিশুটিকে সমস্ত রকম ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে বের করে শিশু বিভাগে আনা হয়।

আরও পড়ুন…মুখ্যমন্ত্রীকে রাক্ষসীর সাথে তুলনা, পোস্টার ঘিরে বিতর্ক বীরভূমে

বর্তমানে ওই শিশুটির সুস্থ থাকলেও আমাদের নজর রয়েছে তার উপর।” ওয়াকিবহাল মহলের বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, অল্প সময়ের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্তের জন্যই ওই শিশুটির প্রাণ আজ ফিরে পাওয়া গিয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top