১৯ জুন ২০২১ :
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘কোভিড-১৯ প্রথম সারির কর্মীদের জন্য কাস্টমাইজড ক্র্যাশ কোর্স কর্মসূচি’র সূচনা করেছেন। ২৬টি রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ১১১টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই কর্মসূচি পরিচালিত হবে। এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১ লক্ষ প্রথম সারির কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী, বিভিন্ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী, বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের ব্যক্তিত্বরা এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচির সূচনার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে জানান, এটি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী ফের আর একবার এই সংক্রণের বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন এবং এর মিউটেশনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন। অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ যখন আছড়ে পরেছে তখন একাধিক সমস্যার চিত্র সকলের সামনে উঠে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সমস্যা মোকাবিলায় সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ১ লক্ষেরও বেশি প্রথম সারির যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া তারই এক অঙ্গ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন যে অতিমারী বিশ্বের প্রতিটি দেশ, প্রতিষ্ঠান, সমাজ, পরিবার এবং ব্যক্তি বিশেষের শক্তির পরীক্ষা নিয়েছে। একইসঙ্গে বিজ্ঞান, সরকার, সমাজ, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি হিসেবে সকলের সক্ষমতা প্রসারিত করতে সতর্ক করে দিয়েছে। ভারত এই সমস্যাকে মোকাবিলা করেছে এবং পিপিই কিট, নমুনা পরীক্ষা, কোভিড সেবা ও চিকিৎসা সম্পর্কিত অন্যান্য পরিকাঠামোগত অবস্থানগুলির পরিবর্তনে প্রয়াস চালিয়ে গেছে। মোদী উল্লেখ করেন, দূর-দূরান্তের হাসপাতালগুলিতে ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সরবরাহ করা হয়েছে। যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে ১৫০০টিরও বেশি অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। এই সমস্ত প্রয়াসের মধ্যেও দক্ষ ও লোকবলের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এরজন্য এবং করোনা যোদ্ধাদের বর্তমান শক্তিকে সমর্থন জানাতে ১ লক্ষ যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রশিক্ষণ ২-৩ মাসের মধ্যেই শেষ হবে।