২৫ জুন, ২০২১ : হঠাৎই মাঝরাত্রে অসহ্য দাঁতের যন্ত্রনায় আপনার ঘুম ভেঙে গেল, সেই সময় হাতের সামনে না পাবেন কোন চিকিৎসক না পাবেন কোন ওষুধের দোকান খোলা, কিন্তু আপনি যদি সেই সময় ঘরোয়া কিছু নিয়ম মেনে চলেন তাহলে কিছুক্ষণের জন্য হলেও নিমিষেই দূর করতে পারবেন আপনার দাঁতের ব্যথা। এছাড়াও অনেক সময় নানান রকম ওষুধ খেয়েও দীর্ঘদিনের দাঁতের যন্ত্রণা যায়না, সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ঘরোয়া কিছু নিয়ম প্রতিদিনের অভ্যাস এর মধ্যে রেখে দেন তাহলে দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার দাঁতের যন্ত্রণা থেকে আপনি স্বস্তি পাচ্ছেন। এক নজরে দেখে নিন ঘরোয়া উপায় কীভাবে দূর করবেন দাঁতের ব্যথা।
১ ) নুন জল- দাঁতের মাড়ির ব্যথার প্রতিকার পেতে এই উপায় প্রয়োগ করা খুব স্বাভাবিক। দাঁতের মাড়িতে ব্যথা অনুভব করলে, সকালে উঠে নরম ব্রাশের উপর নুন দিয়ে দাঁত মাজার মতো মাড়িতে ঘষুন। এরপর গরম জল দিয়ে মুখের ভিতর ধুয়ে ফেলুন। অনেকটা স্বস্তি পাবেন এতে। যন্ত্রণা কমে না যাওয়া অবধি দিনে একবার করে করুন। মাড়ির ব্য়থা কমে যাবে ধীরে ধীরে। এছাড়া, বিকল্প হিসেবে এক কাপ হালকা গরম জলে এক চা চামচ নুন মিশিয়ে মুখের ভিতর পরিস্কার করুন। সকালে এবং রাতে মুখের ভিতর পরিস্কার জন্য নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। ব্যথা এবং ফোলা অদৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া জারি রাখুন।

২ ) ক্যামোমাইল চা – চ্যামোমাইল যে কোনও ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া একটি মোক্ষম দাওয়াই। এ এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা মাড়ির চারপাশে ব্যথা নির্মূল করার জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী। ঘরোয়া প্রতিকারটি ব্যবহার করার জন্য, দিনে একবার কেবল ক্যামোমাইল চা গারগেল করুন। চা পান করাও কিছুটা উপকারী হতে পারে।
৩ ) গোলাপ ফুল- গোলাপ ফুলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা দাঁতের মাড়ির ব্যথা প্রশমিত করতে ব্যবহৃত হয়। মাউথওয়াশ হিসেবে গোলাপ ফুল দিয়ে তৈরি করা জল ব্যবহার করতে পারেন। ঘরোয়া উপায়ে মাউথওয়াশ হিসেবে এক কাপ গোলাপ ফুলের চা বা জল অথবা পেস্টের মধ্যে এক চা চামচ লেবুর রস যোগ করুন। সেরা ফল পেতে প্রতিদিন চারবার এই পেস্ট ব্যবহার করুন।
৪ ) গরম সেঁক দেওয়া – দাঁতের মাড়িতে ব্যথা দূর করতে গরম সেঁক দেওয়া এই ঘরোয়া প্রতিকার। একটি পরিষ্কার কাপড় গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। অতিরিক্ত জল বের করে মুখের যেখানে ব্যথা রয়েছে, সেখানে ওই গরম কাপড়টি আলতো চেপে সেঁক দিন। পাঁচ মিনিটের জন্য রেখে দিন। মাড়ির ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে যতবার প্রয়োজন এটি করতে পারেন।
তবে, অব্যশই যেকোনো শারীরিক সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন।