এনএফএআই-এর সংগ্রহে স্থান পেয়েছে রাজকুমার হিরানী’র ‘পিকে’ চলচ্চিত্রটি

এনএফএআই-এর সংগ্রহে স্থান পেয়েছে রাজকুমার হিরানী’র ‘পিকে’ চলচ্চিত্রটি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram


৬ জুলাই, ২০২১:চলচিত্র পরিচালক রাজকুমার হিরানীর ২০১৪-য় তৈরি ‘পিকে’ চলচ্চিত্রের মূল ক্যামেরা নেগেটিভটি ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র সংগ্রহশালা (এনএফএআই)-তে স্থান পেয়েছে। সমসাময়িক ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম হলেন হিরানী, যিনি বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর স্বতন্ত্র চলচ্চিত্রের মধ্যে দিয়ে নিজের উচ্চমানের চলচ্চিত্র নিমার্ণের পরিচয় দিয়েছেন। রাজকুমার হিরানী আজ ‘পিকে’ চলচ্চিত্রটি’র মূল ক্যামেরা নেগেটিভ মুম্বাইয়ের এনএফএআই-এর অধিকর্তা প্রকাশ ম্যাগদুম্র হাতে তুলে দেন। রাজকুমার হিরানী জানান, এই চলচ্চিত্রের নেগেটিভ সংরক্ষণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুনেতে এনএফএআই-তে এটি সংগ্রহ করে রাখা হবে। এরজন্য তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। হিরানী বলেন, একজন চলচ্চিত্র নির্মাতার দায়িত্ব হল চলচ্চিত্রগুলির সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করা। এই ক্ষেত্রে এনএফএআই যে কাজ করেছে তিনি তার প্রশংসাও করেন।

এনএফএআই-এর অধিকর্তা প্রকাশ ম্যাগদুম জানান, এই সংগ্রহশালায় ‘পিকে’ চলচ্চিত্রটিকে স্থান দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সাল থেকে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রযোজনার ক্ষেত্রে সেলুলয়েড থেকে ডিজিটাল রূপান্তর শুরু হয়েছে। এদিন ‘পিকে’ চলচ্চিত্রের মূল ক্যামেরা নেগেটিভ ছাড়াও ‘থ্রি ইডিয়টস’ চলচ্চিত্রের আউট টেকগুলি সংরক্ষণের জন্য এনএফএআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও হিরানী পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলির পোস্টার, লবিকার্ড এবং ছবি সহ প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ কাগজ এনএফএআই-কে হস্তান্তর করা হয়।

এফটিআইআই-এর প্রাক্তন ছাত্র হিরানী তাঁর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নানান সামাজিক সমস্যা মোকাবিলা করার উপায় এবং সমসাময়িক বিষয়গুলিকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এর আগে হিরানীর ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ (২০০৩), ‘লাগে রহো মুন্নাভাই’ (২০০৬) এবং ‘থ্রি ইডিয়টস’ (২০০৯)-এই চলচ্চিত্রগুলির মূল নেগেটিভস ইতিমধ্যেই এনএফএআই-তে সংরক্ষিত রয়েছে। রাজকুমার হিরানী পরিচালিত, সম্পাদিত এবং রচিত ‘পিকে’ চলচ্চিত্রটি ভারতীয় সমাজের ওপর একটি দুর্দান্ত রাজনৈতিক ব্যাঙ্গচিত্র। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজের কুসংস্কারের ওপর আঘাত হানা হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top