পূর্ব মেদিনীপুর:- গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবে কার্যত বিধ্বংসী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র সৈকত দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর-সহ উপকূলীয় অঞ্চলগুলি, এরপর সেই সব এলাকা পুনর্গঠনে আগেই ব্লু-প্রিন্ট ছকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,এবার দ্রুত তা সম্পন্ন করার জন্য তিন ধাপে কাজের কথা ঘোষণা করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বেলানগর তারই প্রথম ধাপ হিসেবে দিঘা সৈকতে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সম্পূর্ণ ধসে পড়া দোকানগুলি ফের চালুর জন্য ৫২ টি মোবাইল ভেন্ডিং কার তুলে দেওয়া হল ব্যবসায়ীদের।

এই দিন সরাসরি নবান্ন থেকে ভারচুয়ালি ব্যবসায়ীদের সেসব প্রদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইদিন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, মহকুমা শাসকের হাত থেকে সুসজ্জি, নতুন ভ্যানগুলি হতে তুলে নিলেন ব্যবসায়ীরা। নতুন ভাবে ফের সৈকত পসরা সাজিয়ে তাঁরা বসতে পারবেন, সরকারি মোবাইল ভ্যান পেয়ে এই আশায় নতুন করে বুক বাঁধলেন তাঁরা। গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে সাজানো সৈকত শহর সম্পূ্র্ণ বিধ্বংসী তে পরিণত হয়েছিল। কার্যত শ্মশানের স্তব্ধতা নেমে এসেছিল জমজমাট দিঘা, মন্দারমনি, তাজপুরের সৈকতে। দোকানপাট ভেসে গিয়েছে জলের স্রোতে, রাস্তা ভেঙে গিয়ে ছিলো। ঘর বাড়ি হারিয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের জন্য দ্রুততার সঙ্গে পুনর্গঠনের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার দ্রুত তিন ধাপে সেই কাজ করার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম ধাপে যাতে ব্যবসায়ীরা ফের দ্রুত কাজে ফিরতে পারেন, তার জন্য ৫২ টি মোবাইল ভ্যান প্রদানের উদ্বোধন করে দিলেন এইদিন। পরবর্তী ধাপে আরও ৩০ টি প্রকল্প হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া উপকূলবর্তী অঞ্চলকে ফের সাজিয়ে তুলতে দিঘা ও সুন্দরবন-এই দুটি মাস্টারপ্ল্যানের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ দেওয়া চলছে। সেই কাজ কতটা এগিয়েছে, তা বোঝাতে মুখ্যমন্ত্রী পরিসংখ্য়ান দিলেন। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী, এর মধ্যে ১৯.১ লক্ষ মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছেছে বলে জানান। এর জন্য ৩৬৪.৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই ত্রাণের খরচের কোনও সাহায্যই যে কেন্দ্রের থেকে পাওয়া যায়নি, সেই অভিযোগেও ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এক কথায় বলা যেতে পারে ঘূর্ণি ঝড়ের তাণ্ডবে যেই রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে ছিল সমুদ্র সৈকত এলাকা জুড়ে তা আবার পুনরায় সাজদে চলেছে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে এটাই মনে করা যায়।