ভুটান সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হিশেবে পরিচিত দুয়ার্স। বিস্তীর্ণ বনভূমি, ছোট-বড় পাহাড়, একাধিক নদী, চা বাগান সব মিলিয়ে এক অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে, ডুয়ার্স আপনার জন্য একেবারে সঠিক স্থান। প্রায় ১০০ টিরও বেশি সুন্দর সুন্দর ঘোড়ার জায়গা রয়েছে ডুয়ার্সে। প্রকৃতিপ্রেমী এবং ভ্রমণপিপাসু মানুষদের আদর্শ স্থান হলো ডুয়ার্স।
ডুয়ার্স ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণ হলো জঙ্গলসাফারি। হাতির পিঠে চরে জঙ্গল দেখার মজাই আলাদা। লাটাগুড়ির জঙ্গল, গরুমারা ন্যাসানাল পার্ক, সামসিং, প্যারেন, চুকচুকিওয়াচ, চিলাপাতা ফরেস্ট, সাগর দীঘি, মদন মোহন মন্দির সহ একাধিক জনপ্রিয় ভ্রমণ স্পট রয়েছে ডুয়ার্সে।
শিয়ালদহ থেকে কেবল মাত্র একটি ট্রেনই (কাঞ্ছন কন্যা এক্সপ্রেস) নিউ মাল জংশন পর্যন্ত চলাচল করে। তবে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি করে লাটাগুড়ি আসা যায়। লাটাগুড়ির জঙ্গল সাফারির মজাই আলাদা। জলপাই রং-এর উর্দিধারী গাইড ও ড্রাইভারকে নিয়ে রাইনো জিপের সাওয়ারি করতে ভুলবেন না। ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা মিলতে পারে গণ্ডার, বাইসন, হাতি কিংবা ময়ূরের।
কুমাই চা-বাগান এবং কুমাই ফরেস্ট পার করে নকশাল চেকপোস্ট থেকে কিছুটা এগোলেই যে ভিউ পয়েন্ট দেখতে পাবেন তার সৌন্দর্য আপনাকে পাগল করে দেবে। ভুটান পাহাড়ের গা বেয়ে বয়ে যাচ্ছে স্বচ্ছ জলধারা। চারিদিকে ছোট বড় টিলা এবং অচেনা পাখির ডাক।
ডুয়ার্সের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হলো জলদাপাড়া। এখানে এসে হাতির পিঠে চরে জঙ্গল সাফারি না করলে আপনার ডুয়ার্স ভ্রমণ ব্যর্থ। কেবলমাত্র সকালের তিনটি স্লটে এক ঘণ্টার জন্যই এই সাফারির মজা নেওয়া যায়। এই সাফারির জন্য আপনার ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ হতে পারে।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের জয়ন্তী বিট এখনকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ আকর্ষণীয় টুরিস্ট স্পট। ৬,৮ কিংবা ১০ জনের গ্রুপে ডুয়ার্সে গেলে বাজেটে বেশ কিছুটা সাশ্রয় হয়। অন্যথায় জনপ্রতি খরচের তারতম্য ঘটতে পারে।