মানুষের আয়ু বেড়েছে ফলে অবসর গ্রহণের বয়সের সীমা বাড়াতে হবে। এমন জল্পনা চড়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ এব্যাপারে তাদের মতামত জানিয়েছে। বলা হয়েছে, মানুষের আয়ু বেড়েছে। পাশাপাশি উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তাতে সাহায্য করছে। সেই কারণে বয়স্ক ব্যক্তিদের আগের যে কোনও প্রজন্মের থেকে বেশি সময় ধরে কাজ করতে সক্ষম।
ধাপে ধাপে অবসররের বয়সসীমা বাড়ানো প্রয়োজন বলে বুধবার এক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের তরফে বলা হয়েছে, ভারতে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ধাপে ধাপে বাড়ানো প্রয়োজন। কেননা ভারতের মতো তরুণ দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যাও বেশি। বলা হয়েছে, অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হলে, বয়স্ক ব্যক্তিদের কাজের সুযোগ বাড়বে। বলা হয়েছে, এর জন্য বর্তমান কর্মীদের জন্য চাকরির চাহিদা এবং চাকরির পাওয়ার সঙ্গে কোনও আপস না করেই তা করা সম্ভব।
অবসরের বয়সসীমা বাড়ালেও তাতে যদি সামাজিক সুরক্ষা না থাকে, তাতে যদি অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তা পেনশনের ফাঁককে দূর করার পক্ষে যথেষ্ট হবে না। রিপোর্টে ৫০ ও ৬০ বছরের সীমায় থাকা মানুষজনের উচ্চ দক্ষতার কথা বলা হয়েছে, যা তাঁদেরকে পুনরায় সুযোগ দিতে পারে। সেখানে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও এমন নীতি নিতে হবে, যাতে অবসরের সময়সীমা বাড়ানো যায় কিংবা পুনরায় নিয়োগের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা যায়।
আর ও পড়ুন আরও ১৫ দিন বাড়ল রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধ, ৩১ Aujust পর্যন্ত চলবে না ট্রেন
এই প্রচেষ্টায় প্রশিক্ষণের সুযোগ না থাকা প্রথাগত অর্থনীতির বয়স্ক শ্রমিক, গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী, জাতিগত সংখ্যালঘু, শরণার্থী এবং পরিযায়ীদেরও যেন বাদ দেওয়া না হয়, সেই কথাও বলা হয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দেশের ১০ শতাংশের বেশি মানুষের বয়স ৬০ বছরের ওপরে। ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যাটা প্রায় ১৯.৫০ % হয়ে যাবে। সেই সময় প্রতি ৫ জনের ১ জন বয়স্ক ব্যক্তি থাকবেন।
বর্তমানে কেরলে সব থেকে বেশি বয়স্ক মানুষ রয়েছেন(১২.৫%), এরপরেই গোয়া (১১.২%) এবং তামিলনাড়ু (১০.৪%) । দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই পরিস্থিতির কারণ সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম এবং সন্তান সংখ্যা কম। কেরল ও তামিলনাড়ুতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৭%, যা দেশের গড়ের থেকে কম।