
Dilip Ghosh-এর বিরুদ্ধে ফুঁসছে পশ্চিম মেদিনীপুর গেরুয়া শিবিরের একাংশ। এমনকি বেশকিছু হেভিওয়েট নেতা ঘনিষ্ঠমহলে এমনটাও দাবি করছেন প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিতে পারে।
প্রসঙ্গত ,রবিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ফেরার সময় খড়গপুর দু’নম্বর ওয়ার্ডে জলবন্দি বাসিন্দাদের বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি Dilip Ghosh। এলাকার বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তারা জল যন্ত্রনায় ভুগছেন আর কতদিন এমন যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে?
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মেজাজ হারান সংসদ তিনি বলেন ” আমি যদি সব করে দেবো তাহলে আপনারা কি বাড়িতে বসে ঘুমাবেন?আমি সাংসদ কোটার টাকা দিয়েছি এরপর কি নর্দমা গুলো তৈরি করে দিতে হবে! যান গিয়ে কাউন্সিলের বাড়ির সামনে মলত্যাগ করে আসুন।বাড়ি থেকে যাতে বরোতে না পারে। দরকার পড়লে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখুন।”Dilip Ghosh-এর সেই মন্তব্য নিমিষেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সংবাদমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় এর পরেই খড়গপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী মহিলা কাউন্সিলর সুখরাজ কাউর ক্ষোভ উগরে দেন দলের নেতা দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।
ওই বিদায়ী কাউন্সিলের বলেন “একজন মহিলার উদ্দেশ্যে দীলিপবাবু এই ধরনের মন্তব্য করেন কি করে ।উনি ৩ বছর খড়্গপুরের বিধায়ক ছিলেন কি কাজ করেছেন?”একইসাথে সুর চড়ান ওই মহিলার স্বামী তথা বিজেপির জেলা স্তরের হেভিওয়েট নেতা সুখবীর সিং অটওয়াল। তিনি বলেন এলাকায় কোনো অভিযোগ এলে তিনি আমাকে বা আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে পারতেন। কিন্তু প্রকাশ্যে একজন মহিলার বিরুদ্ধে এত নোংরা কথা বলার সাহস উনি কি করে পান।
তার এই মন্তব্যে সায় দিয়েছেন জেলার আরো কয়েকজন নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে এমনোও আলোচনা হয়েছে যে এই ঘটনার পর দীলিপবাবু যদি প্রকাশ্যে ক্ষমা না চায় তাহলে পরবর্তীতে অন্য পথে যেতে বাধ্য হবে দলীয় কর্মীরা।
একই সাথে গেরুয়া শিবিরের একটি অংশ মনে করছে মেদিনীপুরের সংসদ দিলীপ ঘোষের মূল ক্ষোভের কারণ ছিল “মেদিনীপুর খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদ” কোনো টাকা বরাদ্দ করছে না তার সাংসদ কোটা থেকে।ফলে স্বাভাবিকভাবেই খড়গপুর পৌরসভার প্রতি তার ক্ষোভ ছিল ই। এর আগেও অনেকবার ওই কাউন্সিল এর কাজ কর্মের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বহুবার দিলীপ ঘোষ।আর এবার সেই ক্ষোভের শিকার হয়ে বসে খড়গপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর। সম্পূর্ণ ঘটনাটি তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছে তৃণমূল শিবির। তৃণমূল নেতা তথা খরগপুর পৌরসভা প্রশাসক প্রদীপ সরকার এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন দীলিপবাবু খড়গপুরে এতদিন বিধায়ক থেকেও এলাকা সম্বন্ধে কিছুই জানেন না।ওই ওয়ার্ডে জল জমার জন্য অন্যতম দায়ী রেল কর্তৃপক্ষ।আমরা ইতিমধ্যে ই এই ব্যাপারে রেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এইসব না জেনেই তিনি পৌরসভার ও পৌরসভার কাউন্সিলর কে গালমন্দ করছেন।