
শুনানি এড়ালেন মুকুল রায়। বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে হাই কোর্টে যাবেন শুভেন্দু (Suvendhu) । স্পিকারকে চিঠি দিয়ে বিধায়ক পদ খারিজের শুনানি এড়িয়ে গেলেন মুকুল রায় (Mukul) । আর সেই দিনই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে এই বিষয়ে শুনানি ছিল। যথাসময়ে বিরোধী দলনেতা-সহ বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়, আইনজীবী সায়ক চক্রবর্তী ও বিল্বদল ভট্টাচার্য হাজির হন। সেখানে গিয়েই বিরোধীরা জানতে পারেন স্পিকারকে চিঠি দিয়ে এক মাস সময় চেয়ে নিয়েছেন মুকুল।
শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। তাঁর অনুপস্থিতিতে পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করে দেন স্পিকার। বিরোধী দলনেতাকে জানানো হয় এই বিষয়ে ফের শুনানি হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। শারীরিক অসুস্থতার জন্য মুকুলের (Mukul) আবেদন গৃহীত হয়েছে বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। মুকুল না আসায় মাত্র ১৩ মিনিটে শেষ হয়ে যায় শুনানি।
কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুলের স্পিকারকে লেখা চিঠি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপি শিবির জানিয়েছে, মুকুল যে চিঠিটি স্পিকারকে পাঠিয়েছেন সেখানে তাঁর বয়স যেমন উল্লেখ করা হয়নি। তেমনই চিঠিতে কোনও তারিখের উল্লেখ নেই। এই চিঠি কোনও ভাবেই গৃহীত হতে পারে না। এরপরেই বিরোধী দলনেতা বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কলকাতা হাই কোর্ট মামলার কথা জানিয়ে দেন।
তিনি বলেন, “সংবিধানের দশম তফশিলে বলা আছে খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে হবে। আগামী সপ্তাহে আমি কলকাতা হাই কোর্টে যাব। বর্তমান অধ্যক্ষের আমলে গত ১০ বছরে দলত্যাগ বিরোধী আইন বিধানসভায় কার্যকর করা হয়নি। গাজোলের বিধায়কের ২৩ বার শুনানি হওয়ার পরেও কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। সেই অভিজ্ঞতা ও তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি দ্রুতই কলকাতা হাই কোর্টে যাব।”
শুভেন্দু (Suvendhu) আরও বলেন, “দ্রুত দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা। অথবা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শুনানি শেষ করতে হবে। মূলত এই দুটি দাবিকে নিয়েই আমরা আদালতে যাব।” প্রসঙ্গত, মুকুল রায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হওয়া নিয়েও এর আগে কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা কলকাতা হাইকোর্টের আরও একটি মামলা করেছেন।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর (Suvendhu) বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আদালতের দরজা সবার জন্য খোলা আছে। যে কেউ আদালতে যেতে পারেন। আমি নিয়ম মেনে এগোচ্ছি। চেয়ারের পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য যা করার করব। আমাকে তো সবাইকে ন্যাচারাল জাস্টিস দিতে হবে।