কারাগারে অনেকটা নীরবে সময় কাটচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) নায়িকা পরীমনি (Porimoni)

কারাগারে অনেকটা নীরবে সময় কাটচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) নায়িকা পরীমনি (Porimoni)

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
Porimoni
কারাগারে অনেকটা নীরবে সময় কাটচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) নায়িকা পরীমনি (Porimoni)
ছবি সংগ্রহে ; সাইন টিভি

বাংলাদেশ  (Bangladesh) চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি (Porimoni) এখন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। সেখানকার মহিলা কারাগারের রজনীগন্ধা ভবনে নেয়ার পর তাকে আলাদা সেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।   গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে নেয়া হয় পরীমনিকে। এরপর থেকে তিনি নতুন বন্দিদের সঙ্গে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে আছেন। কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন যদি কোনো শারীরিক সমস্যা হয় তাহলে জেলবিধি অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা পাবেন তিনি। এখন পর্যন্ত তিনি স্বাভাবিক ও সুস্থ রয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

 

কারা সূত্র থেকে জানা গেছে, সেখানে অনেকটা নীরবে সময় কাটছে নায়িকার। কোনো অস্বাভাবিক আচরণ করছেন না। দিনের অধিকাংশ সময় পরীমনিকে (Porimoni) চিন্তিত থাকতে দেখা গেছে। কারও সঙ্গে তেমন কথা বলেন না। কারাগারে অন্য বন্দিদের যেসব খাবার দেয়া হয় পরীমনিকেও সেইসব দেয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক খাবারও খাচ্ছেন তিনি। এছাড়াও বই পড়ে, শুয়ে বসেও সময় কাটছে তার।  এ বিষয়ে কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেল সুপার ও মহিলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার আব্দুল জলিল দেশের গণমাধ্যমকে বলেন, পরীমনি এখন সুস্থ আছেন।

 

 

আর ও পড়ুন  ‘আফসোস’ শ্রাবন্তীর (Srabonti), অবশেষে ফিরে এলেন নিজের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যে

 

 

কোয়ারেন্টাইন শেষে তাকে সেলে পাঠানো হবে। আর এর মধ্যে যদি কোনো অসুস্থতা দেখা দেয় তাহলে কারাবিধি অনুযায়ী তাকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে।  গত ৪ আগস্ট বিকেলে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‌্যাব। এসময় তার বাড়ি থেকে বিপুল বিদেশি মদ, মদের বোতলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওইদিন রাত সোয়া আটটার দিকে পরীমনিকে (Porimoni) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয় র‌্যাব সদর দপ্তরে।  পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। সেই মামলায় দুই দফায় ছয় দিন রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হলে বিচারক ধীমান চন্দ্র মণ্ডল জামিন নামঞ্জুর করে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

তবে আদালতে পরীমনির ডিভিশন দেয়ার আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করে তাকে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশনা দেন।  কোয়ারেন্টাইনের এই সময়ে ডিভিশন কার্যকর হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, পরীমনিকে ডিভিশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনার কাগজ আমরা এখনো হাতে পাইনি। কাগজ আসলে সেটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হবে। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে নির্দেশনা আসার পর তা কার্যকর করা হবে।তবে তিনি এখন সাধারণ বন্দিদের মতোই আছেন।

 

পরীমনির পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেনি। আর করোনার এই সময়ে সাক্ষাৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। আর পরীমনি চাইলেও এখন কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে সপ্তাহে ১০ মিনিট তিনি যোগাযোগ করতে পারবেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top