বহু জল্পনা ও দীর্ঘ লড়াইয়ের পর চরম উত্তেজনার মধ্যদিয়ে মঙ্গলবার অবশেষে খোদ দলের নির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা অপসারিত হলেন তৃণমূল পরিচালিত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমান।ফলে বিষয়টি নিয়ে এদিন ওই এলাকায় টানটান উত্তেজনা থাকলেও পুলিশের কড়া নিরাপত্তার চাঁদয়ে মুড়ে রাখা হয়েছিল গোটা এলাকা।তবে এদিনের ওই অনাস্থা ভোটে উপস্থিত ছিলেন না পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমান সহ তার পক্ষে থাকা ৭ জন সদস্য।ফলে এদিন প্রধান অপসারণের ভোটে তেরো শূন্য ভোটে জয়লাভ করে অনাস্থকারীরা বলে এমনটাই দাবি অনাস্থকারীদের।
উল্লেখ্য গত প্রায় তিন মাস পূর্বে তৃণমূল পরিচালিত দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারী কাজে দুর্নীতি সহ সরকারী প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ও একনায়ক তন্ত্রের অভিযোগ তুলার পাশাপাশি দুর্নীতি গ্রস্থ্য পঞ্চায়েত প্রধানের অপসারণের দাবি তুলে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ্য হয় খোদ ১২ জন দলীয় পঞ্চায়েত সদস্য।যদিও ওই ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্যের তোলা অভিযোগ ও প্রধানকে অপসারিত করতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি ব্লক প্রশাসন।ফলে প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ও তার অপসারণের দাবিতে রাজ্যের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ্য হন অভিযোগকারী ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা।ফলে গত ২৭ জুলাই ব্লক প্রশাসনকে তলবিসভা ডাকা ও সিগ্নেচার ভেরিফিকেশনের নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিকে আদালতের দেওয়া নির্দেশ অনুসারে গত ২৭ জুলাই ওই ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্যের সিগ্নেচার ভেরিফিকেশনের জন্য বিডিওর দপ্তরে উপস্থিত হতে বলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও বিজয় গিরি।বিডিওর এই নির্দেশে গত ২৭ জুলাই হরিশ্চন্দ্রপুর দু নম্বর ব্লক আধিকারিকের দপ্তরে হাজির হয় ওই ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্য।অন্যদিকে বিডিওর দপ্তরে হাজির হতেই সশস্ত্র দুষ্কৃতী হামলা চালিয়ে ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ উঠে খোদ হরিশ্চন্দ্রপুর দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামীর বিরুদ্ধে।যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
পঞ্চায়েত এই ঘটনার পর চিরুনী তল্লাশি চালিয়ে অপহৃত পঞ্চায়েত সদস্যদের উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।এই ঘটনার পর গত ৬ আগষ্ট প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার দিন ধার্য্য করা হলেও নিরাপত্তা জনিত কারণে ওই দিন অনাস্থা বাতিল করে প্রশাসন।তবে এদিন পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে সম্পূর্ণ হল প্রধানকে অপসারণ প্রক্রিয়া।