দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে দ্রুত পরিষেবা পেতে জিগজ্যাগ (Zigzag) পদ্ধতিতে লাইন নিয়ন্ত্রণ

দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে দ্রুত পরিষেবা পেতে জিগজ্যাগ (Zigzag) পদ্ধতিতে লাইন নিয়ন্ত্রণ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
Zigzag
দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে দ্রুত পরিষেবা পেতে জিগজ্যাগ (Zigzag) পদ্ধতিতে লাইন নিয়ন্ত্রণ
ছবি সংগ্রহ ; সাইন টিভি

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ভীড় সামাল দিতে এবার বাঁশের ব্যারিকেড করে জিগজ্যাগ (Zigzag) পদ্ধতিতে লাইন নিয়ন্ত্রণ করা হলো হাওড়ায়। বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার শরৎ সদনে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের সূচনার পর এইভাবেই ভীড়ের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

 

এরফলে বিনা ঝঞ্জাটে অনেক দ্রুত মানুষ এখান থেকে পরিষেবা পেয়েছেন। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা নিতে বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম তুলতে অতিরিক্ত ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছিল হাওড়া শহরের প্রতিটি ক্যাম্পেই। সেই কারণে প্রতিদিন যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছিল তা সামাল দিতে এদিন হাওড়ায় বাঁশের ব্যারিকেড করে জিগজ্যাগ (Zigzag) পদ্ধতিতে লাইন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

 

বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়া পুরসভার তরফ থেকে এই প্রকল্পের সুবিধা মানুষ যাতে ক্যাম্পে এসে সহজে পেতে পারেন তার সুব্যবস্থা করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথীর পাশাপাশি এবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে তুমুল উৎসাহ তৈরি হয়েছে।

 

হাওড়ার বিভিন্ন কেন্দ্রে দেখা যাচ্ছে ভোর থেকেই দীর্ঘ লাইন। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য ফর্ম তুলতে মহিলারাও দীর্ঘ অপেক্ষা করছেন। এই নিয়ে কোথাও কোথাও ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে বলেও অভিযোগ। যাতে সকলে ক্যাম্পে এসে সুষ্ঠুভাবে প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন সেই জন্য এদিন সকাল থেকে হাওড়ার শরৎ সদনে জিগজ্যাগ (Zigzag) সিস্টেমে বাঁশের ব্যারিকেড করে সকলকে সুষ্ঠুভাবে এবং শৃংখলাবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড় করিয়ে ফর্ম দেওয়ার কাজ শুরু হয়।

 

এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর শৈলেশ রাই জানান, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার, পুরসভার সকল আধিকারিক ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ।

 

ভীড় নিয়ন্ত্রণের জন্য তিরুপতি মন্দির, বালাজি মন্দিরে যেরকম জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে ভক্তদের দাঁড় করানো হয়, সেইরকম ভাবেই এখানে যারা প্রকল্পের সুবিধা নিতে এসেছেন তাঁদের সেই ভাবেই লাইনে দাঁড় করানো হয়েছে। এইভাবে দাঁড় করালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না।

 

একটা দূরত্ব বজায় থাকবে। এইভাবে সকলে আস্তে আস্তে এসে ফর্ম নেবেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার এখানে স্বাস্থ্যসাথী ও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য কাউন্টার করা হয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য কাউন্টার করা হয়েছে দশটা।

 

অর্থাৎ মিনিটে ১০ জনকে ফর্ম দেওয়া যাবে। সেই কারণে এখানে ৫ হাজার জন এলেও কোন অসুবিধা হবে না। যাতে সাধারণ মানুষের কোনওরকম অসুবিধা না হয় রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। এদিন প্রায় পাঁচ হাজার জনকে ফর্ম দেওয়া হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top