
প্রধান ও উপপ্রধানের ইস্তফা দেওয়ার তিনমাস পার হয়ে গেলেও এখনও নতুন প্রধান নির্বাচন না হওয়ায় সবরকম পরিষেবা (Service) থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চোপড়া ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেস পরিচালিত মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দারা। পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজ থেকে শুরু করে বাসিন্দাদের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেটের মতো কাজ থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটের পরিষেবা পর্যন্ত পাচ্ছেনা।
যদিও স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে প্রধান নিয়ে নতুন করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এই পঞ্চায়েতের মানুষ। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে রয়েছে। তাও সুরাহা হচ্ছে না। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপি চাপানউতোর।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চোপড়া ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেস পরিচালিত মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান শহর বানু এবং উপপ্রধান বিশ্বজিৎ সিংহ গত ৪ জুন ইস্তফা দিয়েছেন। ইস্তফাপত্রে তাঁদের ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রায় তিনমাস পার হতে চললেও মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতের এখনও প্রধান ও উপপ্রধানের পদে কাউকে নিযুক্ত করেনি প্রশাসন বা তৃনমূল কংগ্রেস।
আর ও পড়ুন পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিতে এবার কি আসতে চলেছেন শাহরুখ (Shah Rukh) কন্যা সুহানা (Suhana) খান?
গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন মাঝিয়ালি এলাকার সবকটি গ্রাম সংসদের মানুষেরা। রাস্তাঘাট নিকাশি নালার ব্যাবস্থা ছাড়াও নুন্যতম রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট বা অন্য কোনও শংসাপত্র প্রধানের সই ছাড়া মিলছেনা। মিলছেনা রাজ্য সরকারের নানান জনমুখী প্রকল্পের সুবিধাও। গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন এখন পঞ্চায়েতে কোনও কাজ বা পরিষেবা (Service) তাঁরা পাচ্ছেন না। আড়াই তিন মাস ধরে পঞ্চায়েতে অচলাবস্থা চলছে।
স্থানীয় বিজেপি নেতা অশোক রায় অভিযোগ করে বলেন, তৃনমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতের এই অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পঞ্চায়েতে গিয়ে কোনও পরিষেবা (Service) পাচ্ছেন না গ্রামের মানুষ। সামনেই রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের কাজ হবে অথচ প্রধান না থাকলে তা কি করে সম্ভব হবে। বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
বিজেপি নেতা অশোকবাবুর আরও অভিযোগ বন্ধ থাকা অবস্থাতেই মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতে দু-তিন কোটি টাকার দুর্নীতি হয়ে গিয়েছে। চোপড়ার তৃনমূল ব্লক সভাপতি প্রীতিরঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে গ্রামের মানুষের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দেওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি সেই কাজ করে দিচ্ছেন।