লক্ষী ভান্ডার (Lakshi Bhandar) প্রকল্পে বহুতলবাসীদের আবেদনে হতবাক প্রশাসনিক আধিকারিকেরা

লক্ষী ভান্ডার (Lakshi Bhandar) প্রকল্পে বহুতলবাসীদের আবেদনে হতবাক প্রশাসনিক আধিকারিকেরা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
লক্ষী ভান্ডার ( Lakshi Bhandar ) প্রকল্পে বহুতলবাসীদের আবেদনে হতবাক প্রশাসনিক আধিকারিকেরা
ছবি সংগ্রহে সাইন টিভি

জেলা জুড়ে দুয়ারে সরকারে ব্যাপক সাড়া। এক পরিবারের একাধিক মহিলার লক্ষ্মীভাণ্ডারে ( Lakshi Bhandar ) প্রকল্পের আওতায় আসতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর সে ঘোষণার পরই বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের বোরোতে বোরোতে লক্ষী ভান্ডার ( Lakshi Bhandar ) প্রকল্পে গ্রাহকের সংখ্যা চারগুন। ব্যাপক উৎসাহ চোখে পড়ে এদিন শিলিগুড়ির প্রতিটি দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে। দেখা যায় একইসঙ্গে স্বাস্থ্য সাথী ও লহ্মী ভান্ডার ( Lakshi Bhandar ) প্রকল্পের ফর্ম তুলছেন অনেকেই।

 

শহরের লক্ষ্মী ভাণ্ডারে জন্য বিপুল সংখ্যক মহিলাদের আবেদন জমা পড়ায় কিছুটা অবাক স্বয়ং প্রশাসনিক অধিকারিকরাও। শহরের ফ্ল্যাট বা বহুতল বাড়িতে বসবাসকারী প্রচুর সংখ্যক মহিলাদের আবেদন জমা পড়েছে। তাতে কিছুটা চমকের মুখে প্রশাসনিক অধিকারিকরা। একাধিক ক্যাম্পের কর্মীরা বলছেন স্বাস্থ্য সাথী অনেকটাই হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের আগের পর্বে। এবারে অধিকাংশ ভিড়ই লক্ষ্মী ভান্ডারের। প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা শিলিগুড়ি মহকুমা দপ্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানাচ্ছেন শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন শহরের মতো এলাকায় বহুতল বাড়ির মহিলারাও এত বিপুল সংখ্যায় আবেদন করবেন তা প্রথমে আন্দাজ করা যায়নি।

 

কিন্তু প্রতিটি শিবিরে হাজারে হাজারে প্রতিদিন আবেদন জমা পড়ছে। গৃহকর্ত্রীদের প্রয়োজনীয়তা অনেক ক্ষেত্রেই তারা সকলের সামনে প্রকাশ করতে পারেননা। এর মধ্যে বড় অংশের মহিলারা নিজেদের বহুতল বা ফ্লাট বাড়ির গৃহবধূ। ক্যাম্পে এসে তারা জানাচ্ছেন তাদের নিজস্ব কোন অর্থ ছিল না। যার জেরে অনেক পরিবারেই গৃহবধূরা মুখ খুলে নিজেদের প্রয়োজনীয়তার কথা জানাতে পারতেন না।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অদূরদর্শী ভাবনা সেই মহিলাদের প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে। এটা সত্যি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া অন্য কারও পক্ষে এ ধরনের ভাবনা সম্ভব না। তবে দপ্তরের তরফে যাবতীয় সরকারি গাইডলাইন মেনেই আবেদনপত্র যাচাই করে গ্রাহকদের প্রকল্পের আওতায় সুবিধে দেওয়া হবে।

 

অন্যদিকে এদিন শিলিগুড়ি শিব মঙ্গল স্কুলের একটি শিবিরের বাইরে ফর্ম পূরণে অক্ষম মহিলাদের লক্ষ্মী ভান্ডারের ফর্ম পূরণের বদলে ১০- ২০টাকা করে তুলছিলেন এক ব্যক্তি। তাকে শিলিগুড়ি পুরো নিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেবের চোখে পড়তেই তার ঘাড় ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি। তিনি বলেন সরকারি প্রকল্প বিনে পয়সায় সকলের কাছে পৌঁছাবে তাকে আঁধার করে কোনো ধরনের তোলাবাজি বরদাস্থ করা হবে না।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top