Deprecated: version_compare(): Passing null to parameter #2 ($version2) of type string is deprecated in /home/u517603494/domains/shinetv.in/public_html/wp-content/plugins/elementor/core/experiments/manager.php on line 170
The pair are receiving the Presidential Award Sabang

এক আধটা নয় একেবারে জোড়া রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছে সবং (Sabang)

এক আধটা নয় একেবারে জোড়া রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছে সবং (Sabang)

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
 এক আধটা নয় একেবারে জোড়া রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছে সবং ( Sabang )
ছবি সংগ্রহে সাইন টভি

আর এক আধটা নয় একেবারে জোড়া রাষ্ট্রপতি পুরস্কার আসছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে ( Sabang )। আসছে সবংয়ের ( Sabang ) দুই দূর্গা গৌরী জানা ও গৌরী দাসের হাত ধরে। করোনা পরিস্থিতির জন্য বিলম্বিত হচ্ছে সমস্ত প্রক্রিয়া। প্রায় ২বছর পিছিয়ে গেছে হস্তশিল্পে (হ্যান্ডলুম) জাতীয় পুরস্কার দান প্রক্রিয়া। জানা গেছে ২০১৮ সালে বুননশিল্প জন্য জাতীয় পুরস্কার দানের আবেদন পত্র পাঠানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল ২০১৯ সালে।

আর ও পড়ুন    পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিতে এবার কি আসতে চলেছেন শাহরুখ (Shah Rukh) কন্যা সুহানা (Suhana) খান?

এরপরেই করোনা পরিস্থিতির জন্য পিছিয়ে যায় সমস্ত প্রক্রিয়া। অতি সম্প্রতি এসেছে এই শুভ সংবাদটি। কেন্দ্রের ডেভলপমেন্ট কমিশনার (হস্তশিল্প) সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১৮ সালের জাতীয় হস্তশিল্প পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন সবং থানার সারতা গ্রামের দুই গৃহবধূ গৌরী দাস ও গৌরী জানা। স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া সবংয়ের ( Sabang ) দুই পরিবারেই।

খবরটি এখনও সরকারি ভাবে সম্প্রচারিত হয়নি। ফলে প্রকাশও পায়নি সেই ভাবে। যদিও ডেভলাপমেন্ট কমিশনারের নিজস্ব সূত্র থেকে এই খবর নিশ্চিত করেছে ।
পাশাপাশি একই ভাবে সবংয়ে হস্তশিল্পের উন্নতি ও প্রসার নিয়ে নিরন্তর কাজ করে যাওয়া কলকাতার একটি সংগঠন ‘বাংলা নাটক ডট কম’ সূত্রেও নিশ্চিত করা হয়েছে এই সংবাদ। নয়া দিল্লির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের পরিচিত আধিকারিকদের কাছ থেকে দুটি পরিবারই জেনেছে এই খবর। আর জানার পরই খুশির বন্যা দুই পরিবারে।

১৯৯২ সালে এই সারতা গ্রাম থেকে মাদুর শিল্পের ওপর প্রথম জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন পুষ্পরানী জানা। সবংয়ের মাদুরের বিশ্ব পরিচিতি ছিল আগেই। পুষ্পরানী জানা জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর তা আরও বেশি সমাদৃত হয়। যেহেতু ভারতের রাষ্ট্রপতি স্বয়ং এই পুরস্কার তুলে দেবেন।

 

এরপর বিভিন্ন সময়ে পুরস্কার পেয়েছেন অলক জানা ও মিঠু জানা সহ আরও অনেকে । ২০১৬ সালে এই মাদুরের ওপর জাতীয় পুরস্কারটি পেয়ে ছিলেন তাপস জানা। ঘটনাক্রমে তাপস জানা হলেন এবারের পুরস্কার প্রাপক গৌরী জানার স্বামী। আর তার ২বছর পর একেবারে জোড়া রেকর্ড সবংয়ের মাটিতে। একই সঙ্গে জোড়া জাতীয় পুরস্কার। সারা দেশ থেকে মোট ২২ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। নগদ ১লক্ষ টাকা পুরস্কার মূল্য ছাড়াও রয়েছে স্মারক, সম্মানপত্র, শাল ইত্যাদি।

 

গৌরী দাস বলেন আমার ৪৫বছরের সাধনার স্বীকৃতি পেলাম। ১৮বছর বয়সে নারায়নগড় থানার দুড়িয়া গ্রাম থেকে আমার স্বামী নিশিকান্ত দাসের হাত ধরে গৃহবধূ হয়ে এসেছিলাম। বাপের বাড়ি থেকে শিখে এসেছিলাম দোহারা মাদুর বোনা। আমার শাশুড়ি আমাকে হাতে ধরে শিখিয়ে ছিলেন এই মসলন্দ বোনা। আমার এই পুরস্কার যেদিন হাতে আসবে তাঁকেই প্রণাম হিসাবে নিবেদন করব।”

রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সবং বিধায়ক মানস রঞ্জন ভূইঁয়া জানিয়েছেন, “আমি কৃতজ্ঞ সবংয়ের শিল্পীদের প্রতি। বারেবারে সবংকে জাতির দরবারে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা। এর আগেও ৮জন এই রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। সবংয়ের মাদুর শিল্প ও শিল্পীদের জন্য আমরা নিবেদিত। ভারতের মোট মাদুরের ৫২% উৎপন্ন করে সবং। এখানকার মসলন্দি বিশ্ব বিখ্যাত। সবংয়ের ২লক্ষ ৯২হাজার মানুষের মধ্যে ১লক্ষ ৩৫হাজার মানুষ মাদুর শিল্পের সঙ্গে জড়িত। যাঁরা মাদুর কাঠির চাষ থেকে মাদুর তৈরি এই গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত।”

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top