বর্ধমান (Burdwan) আদালতের ল’ক্লার্ককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ

বর্ধমান (Burdwan) আদালতের ল’ক্লার্ককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
Burdwan
বর্ধমান (Burdwan) আদালতের ল’ক্লার্ককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ
ছবি সংগ্রহে সাইন টিভি

 

বর্ধমান (Burdwan) আদালতের ল’ক্লার্ককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মাধবডিহি থানার পুলিস। ধৃতের নাম মিরাজ আলি শেখ ওরফে শেখ সবুজ। খণ্ডঘোষ থানার বরিশালি গ্রামে তার বাড়ি। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধবডিহি থানার বিনোদপুরে ল’ক্লার্ক জগন্নাথ কুণ্ডুর বাড়ি। তিনি আগে ল’ক্লার্কের কাজ করতেন। বয়সের কারণে বর্তমানে আদালতে কম আসেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে সবুজ আসে। তাঁকে একটি বিয়ের রেজিস্ট্রির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে সে।

 

তাতে রাজি হয়ে যান বছর আটষট্টির জগন্নাথবাবু। কিছুক্ষণ পর তিনি সবুজের বাইকে চেপে বর্ধমানে (Burdwan) আসার জন্য বাড়ি থেকে পের হন। সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়েন পরিবারের লোকজন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়েও তাঁর হদিশ পাননি তাঁরা।

 

এরই মধ্যে সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টা নাগাদ জগন্নাথ বাড়ির মোবাইলে একটি ফোন আসে। তাতে তাঁকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়। তাঁকে মুক্ত করতে হলে বর্ধমান (Burdwan) শহরের কার্জন গেট এলাকায় ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়। বিষয়টি পুলিসকে না জানানোর জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। অন্যথায় জগন্নাথবাবুকে খুন করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

 

আর ওখবর    ছেলে মেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনা বন্ধ করতে জারি তালিবানি (Taliban) ফতোয়া

 

বাধ্য হয়ে জগন্নাথবাবুর পুত্রবধূ বৈশাখী কুণ্ডু ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিস জানতে পারে, ফোনটি খণ্ডঘোষ এলাকা থেকে এসেছিল। এরপরই বরিশালি গ্রামে হানা দিয়ে ধরা হয় সবুজকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রামেরই একটি মাটির বাড়ি থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়। মুক্তিপণের টাকা পেতে ল’ক্লার্ককে অপহরণ করা হয়েছিল বলে নিশ্চিত পুলিস।

 

শুধুই মুক্তিপণ আদায় নাকি ল’ক্লার্ককে অপহরণের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। অপহরণ করে ল’ক্লার্কের কাছে থাকা টাকা ও কিছু কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।

 

তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতের ৪ দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম। এদিনই ল’ক্লর্কের গোপন জবানবন্দি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নথিভুক্ত করিয়েছে পুলিস।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top