
পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নিলেন ত্রিপুরা কংগ্রেসের প্রধান পীযূষকান্তি (Piyush Kanti) বিশ্বাস। ত্রিপুরায় ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের ভিত শক্ত করতে শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি।
তবে এখনও যেটা তৃণমূলের বড় সমস্যা তা হল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে দলের মুখ কে হবে। এরই মধ্যে শনিবার ত্রিপুরার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির ইস্তফা নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছিল। শোনা যাচ্ছিল প্রদেশ সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু আপাতত সেই জল্পনার ইতি। পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নিয়ে তিনি কংগ্রেসেই আছেন বলে জানিয়েছেন পীযূষবাবু (Piyush Kanti)।
শনিবার পুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন পীযূষকান্তি (Piyush Kanti) বিশ্বাস। কিন্তু পদত্যাগের পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, নিজের সিদ্ধান্ত বদল করে নিয়েছেন পীযূষকান্তি। শনিবার সকালেই প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। পীযূষকান্তি বিশ্বাসের অভিযোগ ছিল, সংগঠন গড়তে সহযোগিতা করছে না হাইকম্যান্ড। প্রদেশ কমিটিও সঙ্গে নেই। পদত্যাগ করে ট্যুইটারে তিনি লিখেছিলেন, “ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) থাকাকালীন আপনাদের সহযোগিতার জন্য সমস্ত কংগ্রেস নেতৃত্ব, সমর্থকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আর ও পড়ুন আফগানিস্তানে বসে পৃথিবী ধ্বংসের নীল নকশা আঁকবে তালিবানরা, বললেন তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)
আজ আমি সভাপতিপদ থেকে পদত্যাগ করেছি এবং রাজনীতি থেকেও অবসর নিয়েছি। দলের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা”। গত সপ্তাহে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের সুস্মিতা দেব । তাঁকে দিয়ে তৃণমূল অসমের সংগঠন শক্তিশালী করবে বলেই শোনা যাচ্ছে। এই অবস্থায় পীযূষকান্তিও ঘাসফুলে শিবিরে যেতে পারেন বলে শুরু হয়েছিল জল্পনা।
সেই জল্পনা খারিজ করেননি দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বলেছিলেন, শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে। ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের আগে পীযূষের পদত্যাগ কংগ্রেসের জন্য আরেকটি ধাক্কা হিসেবেই দেখছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু রাতেই ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করলেন পীযূষকান্তি। তাঁকে ধরতে রাখতে তৎপর হয়ে ওঠে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন ত্রিপুরায় কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অজয় কুমার। শনিবার সন্ধ্যায় অজয়ের কার্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অজয় কুমারের আশ্বাস পেয়ে পীযূষকান্তি বিশ্বাস ইস্তফাপত্র ফিরিযে দিয়েছেন। তাঁর যাবতীয় বিষয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা এবং সেগুলি সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন অজয়।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, ত্রিপুরায় আসতে চলেছেন প্রাক্তন সাংসদ। তিনি আগামী ২৯ অগাস্ট পীযূষকান্তির সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে পীযূষকান্তিও বলেন,’আমার সঙ্গে ত্রিপুরার ইন-চার্জের কথা হয়েছে। সমস্ত সমস্যার কথা বলেছি। উনি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।