মু ও তার ১২ বছরের ছেলেকে নিয়ে পালাল এক ভন্ড সাধু বাবা ( sadhu)। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার কাঁটাবাঁধ শ্মশান কালী মন্দিরে। প্রতারক সাধুবাবার কীর্তিকলাপ ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বড়জোড়া এলাকায়। ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ি পুরানো কাঁটাবাঁধ গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ছেলেকে নিয়ে বাবার কাছেই থাকতেন। সাধু ( sadhu) বাবার নাম কৃষ্ণ চক্রবর্তী। মেয়ের বাবা জানালেন তার মেয়ে ও নাতি নিখোঁজ বলে একটি মিসিং ডায়েরি করেছি।
আর ও পড়ুন আজব ঘটনা (Strange fact), পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ছে দুধ, আবার খনিক দূরে গিয়ে তা দুধে পরিণত হচ্ছে
সাধুর ( sadhu) বিরুদ্ধেও অপহরণের অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি জানালেন গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ মেয়ে নাতিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন শশুর বাড়ি যাচ্ছি বলে। তারপর থেকে তাদের আর কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন। এদিকে ওইদিন ওই সময় থেকেই সাধুবাবাও পলাতক। মেয়ে এবং সাধু বাবার মোবাইল ফোন সেদিন থেকেই বন্ধ। তিনি জানান ১৪ বছর আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম সোনামুখী থানার কোঁচডিহি গ্রামে । বিয়ের পর থেকেই মেয়ের উপর জামাইয়ের অত্যাচার বাড়তে থাকায় নাতির জন্মের ৬ মাস পরই ওদের নিজের বাড়িতে নিয়ে আসি।
আমরা দিনমজুরি করে খাই। মেয়েও দিনমজুরি করত। নাতিকে মানুষ করছিলাম অনেক আশা নিয়ে। এবছর সপ্তম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, মাস দশেক আগে কৃষ্ণ চক্রবর্তী নামে ওই সাধুবাবা শ্মশান কালী মন্দিরের আশ্রমে আসে। গ্রামের মানুষের চিকিৎসা শুরু করেন। সেই সঙ্গে ঝাড়ফুঁক ও তুকতাক করে তাবিজ মাদুলি দিয়ে ওঝা গিরিও শুরু করেন। তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে অনেকের বিশ্বাসবোধ জাগিয়ে তোলে সে। ওই আশ্রমের পাশ দিয়েই আমাদেরকে হাট বাজার করতে হাট-আশুড়িয়া যেতে হয়। মেয়েও সেইভাবে যাতায়াতের পথে আশ্রমে গিয়ে সাধুবাবার খপ্পরে পড়ে। তার অভিযোগ বৃহস্পতিবার ওকে অপহরণ করে চম্পট দিয়েছে ওই সাধু। এ বিষয়ে বড়জোড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।