হাঁটুন আর সুস্থ থাকুন ( Fit India )। এই স্লোগান ( Fit India ) কে পুঁজি করে আসামের গৌহাটি থেকে লাদখের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করেছেন অঞ্জলি দাস। অঞ্জলি দাস বয়স চল্লিশের একজন মহিলা ক্রীড়াবিদ। তিনি সাফল্যের সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারত সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ম্যারাথন সহ নানান ইভেন্টে যোগ দিয়ে অনন্যা পুরস্কার সহ স্বর্ণ পদক লাভ করেছেন। 2018 কলকাতায় অনুষ্ঠিত এক ম্যারাথনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে সচিন টেন্ডুলকরের হাত থেকে পুরস্কারও পেয়েছেন। আসাম রাজ্যের হয়ে মণিপুরে স্বর্ণপদক জেতার পর জাতীয় দলের হয়ে বিভিন্ন দেশে খেলার সুযোগ পান , কিন্তু কারোনার কারণ যা স্থগিত হয়ে যায়।
আর ও পড়ুন রিয়েলিটি শোয়ে পা রেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিল্পা শেঠি (Shilpa Sethi)
তাই ঘরে বসে না থেকে দেশের মানুষের কাছে ক্রীড়াবিদ হিসেবে সুস্থ্য ( Fit India ) থাকবার মন্ত্র হিসেবে তিনি প্রতিদিন 40 মিনিট হাঁটার কথা বলে নিজেই পথে নামলেন।তার কথায় বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সবাই কিন্তু হাঁটতে পারে ।আর হাঁটবার মধ্যে দিয়ে সবাই সুস্থও থাকতে পারে । এটাই আমার ফিট ইন্ডিয়ার মুলমন্ত্র। এই দীর্ঘ পথে বের হবার আগে রোজ 30 কিলোমিটার হাঁটবার অনুশীলন করেছেন তিনি ।তিনি বলেন ,এই দীর্ঘ পথে আমি খুব আনন্দে চলেছি ।রাস্তায় মানুষ আমাকে দেখে এগিয়ে আসছে , কথা বলছে ,সাহায্য করছে ।এখনো পর্যন্ত কেউ কোনো খারাপ ব্যবহার করেনি। মহিলা বলে কোনো অসুবিধা আমার হয় নি । এটা আমার দেশ ,আমারা এই দেশে একটি পরিবারের মতোই থাকি।
আর ও পড়ুন আজব ঘটনা (Strange fact), পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ছে দুধ, আবার খনিক দূরে গিয়ে তা দুধে পরিণত হচ্ছে
অঞ্জলি দাস প্রতিদিন গড়ে প্রায় 50 কিলোমিটার হাঁটছেন।বিভিন্ন জায়গায় মানুষের সহায়তায় রাত্রিযাপন করছেন।প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত হাঁটছেন। অনেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তার সাথে সেলফিও তুলছেন। তার লক্ষ্য তিন মাসের মধ্যে লাদাখ পৌঁছানো।তিনি পর্বতারোহণ , সাইক্লিং এর মত খেলাধুলার সাথেও জড়িত। তিন বছর আগে পতিবিয়োগ তাকে দমাতে পারেনি তার এই এডভেঞ্চার জীবন থেকে।তার সামান্য রোদ, বৃষ্টি যে তার পথের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না ।