
এ যেন গোদের ওপর বিষ ফোড়া ।করোনা পুরোপুরি বিদায় নেবার আগেই এবার আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) থাবা বসতে শুরু করলো ডেঙ্গি।ইতিমধ্যেই ওই মারণ রোগের থাবায় কালচিনি ব্লকের রাজাভাত চা বাগানে শাল বাড়ি এলাকায় এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে।গত 18 আগস্ট ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন চেতানুল ঠাকুর (৫০) নামে ওই ব্যক্তি।
২২ তারিখ রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে যে ওই ব্লকে আরও চার জন ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিস মিলেছে।এই মুহূর্তে আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। বছর চারেক আগেও কালচিনিতে ডেঙ্গির সংক্রমণে তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই রোগের প্রাদুর্ভাব রুখতে বৃহস্পতিবার (Alipurduar) কালচিনি ব্লক অফিসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
ওই বৈঠকেই ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে রূপরেখা ঠিক করা হয়।কিন্তু এই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সিংহভাগ মানুষ গোর্খা ও আদিবাসী জনজাতির হওয়ার দরুন তাঁদের মধ্যে শুয়োর প্রতিপালনের প্রবণতা রয়েছে।এবং এই এলাকায় জমা জলের অনেক উৎস রয়েছে ,যার কারণে এখানে ডেঙ্গির আশঙ্কা সবসময় থাকে ।
আর ও পড়ুন উত্তরবঙ্গ (North Bengal) রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে তুলে ধরা হবে কোচবিহারের রাজ ইতিহাস
সেই আশঙ্কা যে অমূলক না তার ইঙ্গিত কিন্তু ওই ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু।জমা জলে ডেঙ্গির মশার লার্ভা নষ্ট করতে ইতিমধ্যেই যৌথ অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও (Alipurduar) কালচিনি ব্লক প্রশাসন।ডেঙ্গি প্রবণ এলাকা গুলিকে চিহ্নিত করে বিশেষ স্বাস্থ্য শিবির চালু করা হবে।
সঙ্গে লাগাতার সচেতনতার প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশ চন্দ্র বেরা জানিয়েছেন “২০ অগস্ট ওই আক্রান্ত ব্যক্তি প্রথমে কালচিনির লতাবাড়ি হাসপাতলে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন।তারপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় জেলা হাসপাতালে।সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ২১ তারিখ পাঠানো হয় কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে।সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব রুখতে আমরা তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করেছি।”