রাজারহাটে (Rajarhat)গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী নববধূ

রাজারহাটে (Rajarhat)গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী নববধূ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
Rajarhat

 

রাজারহাটে (Rajarhat)গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী নববধূ
ছবি সংগ্রহে সাইন টিভি

 

রাজারহাটে (Rajarhat) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী নববধূ। রাজারহাট ছোট বাগু এলাকার ঘটনা।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃতার নাম মমতা মণ্ডল কুলি (১৯)।

 

স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’মাস হল (Rajarhat) বাগুগ্রামের প্রবীর কুলির সঙ্গে বিয়ে হয় তার। আর বুধবার সন্ধ্যায় শোওয়ার ঘর থেকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মমতার বাড়ি ফাঁকাই ছিল। তাঁর স্বামী কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। শাশুড়ি তার আগের দিন মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন।

 

মমতার সম্পর্কে এক জা তাঁকে ওই অবস্থায় দেখতে পান। তাঁর চিত্কারেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে মমতা নিথর! প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সবে বিয়ে হয়েছিল। বাড়িতে টুকটাক অশান্তি হত। তবে বড় কোনও সমস্যার কথা তাঁরা জানেন না।

 

এক আত্মীয়ের কথায়, “বিয়ের পর অনেক সময়ই তো মেয়েদের নতুন জায়গায় মানিয়ে নিতে অসুূবিধা হয়। মাঝেমধ্যে ঝামেলা হত। আমরা ভাবতাম ওই কারণেই হয়তো অশান্তি হচ্ছে। কিন্তু একেবারেই পারিবারিক বিষয় হওয়ায় আমরা কেউই কখনই নাক গলায়নি। আর ওরাও তো আমাদের কিছু সমস্যার কথা জানায়নি। সব পরিবারেই তো অশান্তি হয়।”

 

তবে বিয়ের কয়েকদিনের মাথাতেই বধূর এই কীর্তিতে স্তম্ভিত আত্মীয় থেকে প্রতিবেশীরাও। এবিষয়ে কিছু বলতে পারেননি মমতার স্বামীও। শাশুড়িও খবর পেয়ে মেয়ের বাড়ি থেকে চলে আসেন। এক প্রতিবেশীর কথায়, “বাড়ি থেকে চিত্কার চেঁচামেচি শুনতাম। ঝগড়া হলে রাগের মাথায় তো অনেকেই চিত্কার করে অনেক কিছু বলে! ভাবিনি এমনটা হবে। সবে তো বিয়ে হয়েছিল ওদের।”

 

মমতার পরিবারের তরফেও এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মমতা। তবুও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মমতার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। দেহ উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তদন্ত শুরু করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ।

 

পুলিশ জানিয়েছে, (Rajarhat) নববধূর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ফাঁকা বাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে আত্মহত্যার পিছনেও তো অনেক কারণ থাকে। কী কারণে আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

স্বামীর কাছ থেকে নানা কিছু জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের থেকেও নানা সূত্র খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে। মৃতার পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ দায়ের হলে তার ভিত্তিতে তদন্ত হবে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top