
চিকিৎসক নার্সদের সাথে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গ্রামীণ ডাক্তারদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দোপাধ্যায়। ঘোষণাটি হাজার হাজার গ্রামীণ চিকিৎসককে অনেক স্বস্থি শুধু দেয়নি এটা মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) দেওয়া ২০২১ সালের সেরা উপহার বলে মনে করছেন পল্লী চিকিৎসকদের সংগঠনগুলি।
প্রগ্রেসিভ রুরাল ফিজিশিয়ান ওয়েলফেয়ার আ্যাসোসিয়েশন, রুরাল ডক্টরস আ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া, হাবরা গ্রামীণ ডক্টরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সহ বিভিন্ন গ্রামীণ ডাক্তারদের সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা কে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসা ব্যাবস্থার আমুল এবং বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। এবং অদুর ভবিষৎ এ সারা ভারতকে এই মডেল ফলো করতে হবে।
প্রগ্রেসিভ রুরাল ফিজিশিয়ান ওয়েলফেয়ার আ্যাসোসিয়েশন এর রাজ্য সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী বলেছেন, তাঁদের এটা দীর্ঘ দিনের লড়াই এবং দাবি। তিনি বলেন, অতীতের বাম সরকারের পথে না হেঁটে মুখ্যমন্ত্রী স্বকীয় বৈশিষ্ট তিনি বাস্তবটাকে মেনে চলেন। “জনস্বাস্থ্য বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তিনি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। গ্রামীণ ডাক্তাররা যেভাবে ২৪ ঘন্টা মানুষকে প্রাইমারি চিকিৎসা দিতে পারেন তা শহরের ডাক্তারবাবুদের পক্ষে গ্রামে এসে করা সম্ভব নয়।
আর ও পড়ুন ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আসনে উপনির্বাচন কবে?
এখন গ্রামের অনেক ওষুধ দোকানের চেম্বারে বসে মোটা টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে গাড়ি চেপে সপ্তাহে এক দুই দিন চিকিৎসা করতে আসেন পাশ করা ডাক্তারবাবুরা। কিন্তু বিপদের সময় কাউকে পাওয়া যায় না। সেখানে প্রতন্ত্য গ্রামে পল্লী চিকিৎসকদের আরো ভালো করে ট্রেনিং দিলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হবে।”
হাবরা গ্রামীণ ডক্টরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি ডক্টর সাধন নাগ জানিয়েছেন করোনা অতিমারী দেখিয়েছে গ্রামীণ ডাক্তাররা কিভাবে সরকারি গাইডলাইন মেনে পরিসেবা দিয়ে গ্রাম গুলোকে বাচিয়ে দিয়েছে। “গ্রামিন ডাক্তার সরকারের অমোঘ অস্ত্র। বহু চক্রান্তের শিকার হয়েও তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মানবিক। মানুষের কষ্ট বুঝেই তিনি আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।”
রুরাল ডক্টরস আ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার জাতীয় মুখপাত্র ডক্টর কিসুন সিং তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ” গ্রামিন চিকিৎসকরা স্বস্তি পেলেন। দুএকদিন আগেই একটি চিকিৎসক সংগঠনের এক মাতব্বর নেতা মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে বলেছেন রাজ্য থেকে তিনি নাকি কোয়াক ডাক্তারি তুলে দেবেন।
সিআইডি দপ্তরেরর এক কর্তাকে তিনি গ্রামীণ দন্ত চিকিৎসকদের তালিকা তুলে দিয়ে গ্রেফতার করার জন্য বলেছেন। ভুয়ো ডাক্তার ধরুন। কিন্ত আপনাদের টার্গেট গ্রামীণ চিকিৎসক। কারন তাদের অনেকের অভিজ্ঞতার কাছে আপনাদের হার মানতে হচ্ছে। কম পয়সায় গ্রামের মানুষেকে পরিসেবা দিয়ে দিচ্ছে এটা আপনাদের সহ্য হচ্ছ না। মুখ্যমন্ত্রী জনগনের নেত্রী। গ্রামীণ ডাক্তাররা জনগনের পাশে ২৪ ঘন্টা থাকে।”
মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) বলেছেন, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আমাদের গর্ব, আমাদের সম্পদ। তাঁদের স্বাচ্ছন্দ্য, সুযোগ-সুবিধা সুনিশ্চিত করা রাজ্য সরকারের প্রধান কর্তব্য। প্রথম দিন থেকেই আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি।
ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও কীভাবে উন্নত করা যায় সেই লক্ষ্যে আজ এস এস কে এম হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স এবং হাসপাতাল অধিকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে চিকিৎসক ও নার্সদের বিনামূল্যে জমি দেবে রাজ্য সরকার।
এছাড়াও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিং-এ স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের সুবিধা সুনিশ্চিত করার জন্যেও বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।